গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত সাফল্যের জন্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের কাঠামো আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
তিনি একটি ভার্চুয়াল সংলাপে মূল বক্তব্যে বলেন, ‘গণতন্ত্র তখনই কার্যকর হয় যখন সব মানুষকে সম্পূর্ণভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের অধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং ভোটের অধিকার সুরক্ষিত থাকে।’
কসমস ফাউন্ডেশন চলমান অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল এই সংলাপের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। প্রখ্যাত কূটনীতিক এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
আলোচক প্যানেলে ছিলেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) বিশিষ্ট ফেলো ও বোর্ড সদস্য সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) আনম মুনিরুজ্জামান, কসমস ফাউন্ডেশনের সম্মানিত উপদেষ্টা ইমেরিটাস, সাবেক রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ করিম এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে এনায়েতুল্লাহ খান বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক অনেকাংশে সমৃদ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং জনগণের সাথে-জনগণের সংযোগের ভিত্তিতে এটি সমৃদ্ধ হয়েছে।’
খান বলেন, যদি বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা যায় যা বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্বেষণ এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মার্কিন আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, তাহলে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে।
তিনি বলেন, ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার মাধ্যমে এটি সর্বোত্তমভাবে অর্জন করা যেতে পারে এবং অংশীদারিত্বের একটি কৌশলগত মাত্রা প্রদর্শন করা যেতে পারে, যেখানে উভয়েই শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং বৃদ্ধির সন্ধানে একে অপরকে অংশীদার হিসাবে দেখে।
ড. ইফতেখার চৌধুরী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, পারস্পরিক সুবিধার জন্য এগুলোকে আরও প্রশস্ত ও গভীর করা দরকার।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ইফতেখার বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণ করেছে সেই জন্য বাজারে প্রবেশাধিকার প্রাপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রে সমর্থন এটিকে অর্থনৈতিকভাবে বৃদ্ধি ও অগ্রগতিতে সহায়তা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম