November 16, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, November 4th, 2021, 7:07 pm

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পাকিস্তানি চলচ্চিত্র?

অনলাইন ডেস্ক :

পাক হানাদারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার ব্রত নিয়েই ১৯৭১ সালে জন্ম হয় বাংলাদেশের। তবে তারও আগে দখলদার পাকিস্তান চালায় ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরতা। পাশাপাশি তাদের বরণ করতে হয়েছিল লজ্জাজনক পরাজয়। নিজেদের কুকর্মই যদি পাকিস্তান তুলে ধরে সেলুলয়েড পর্দায়- তাহলে কেমন হবে? তবে এতটা না হলেও পাকিস্তানের বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্রে ‘ইতিবাচকভাবে’ প্রথমবারের মতো তুলে ধরা হচ্ছে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ; সম্ভবত! আগামী ১৯ নভেম্বর মুক্তি পাবে ‘খেল খেল ম্যায়’ নামের চলচ্চিত্রটি। গত ৩০ অক্টোবর এসেছে ছবিটির প্রথম টিজার। যা দেখে অন্তত আঁচ করা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাসে ‘অন্যরকম’ একটি ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। চলচ্চিত্রটির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল আলি ও বিলাল আব্বাস খান। তারা দুজনই দেশটির জনপ্রিয় তারকা। এর গল্প লিখেছেন ফিজা আলি, মীর্জা ও নাবীল কুরেশি। ফিজাই ছবিটির প্রযোজক। আর পরিচালনায় আছেন নাবীল কুরেশি। নাবীল কুরেশি দেশটির প্রশংসিত নির্মাতাদের একজন। যিনি গায়কও। এদিকে পাকিস্তানি মিডিয়ার বরাতে জানা যায়, ‘খেল খেল ম্যায়’-এ দুটি প্রজন্মকে একসঙ্গে দেখানো হয়। একটি প্রজন্ম যারা বাংলাদেশির বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালিয়েছিল। সেটির পর পাকিস্তানে বাংলাদেশিদের নিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মিথ্যাচার চালানো হয়েছে। বর্তমান প্রজন্ম আসল সত্যটা জানতে চায়। এর প্রতিফলনও দেখা যায় ৩০ অক্টোবর প্রকাশিত টিজারে। ভিডিওটির শুরুতেই এক বৃদ্ধের কণ্ঠে অনুতাপ ভেসে উঠে। তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতেই পারিনি একটা স্ফুলিঙ্গ একটা জঙ্গল শেষ করে দিতে পারে।’ আর শেষটায় সজল আলির প্রশ্ন তুলে ধরে হয়। তিনি তার বন্ধুদের বলতে থাকেন, ‘কেন আমরা প্রশ্ন করি না? কেন একটি মিথ্যাকে আমাদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে? কেউ কেন প্রশ্ন করে না, আসলেই সেই সময়ে কী হয়েছিল? নাকি আমরা সেই চালের মধ্যে ফেঁসে গেছি, যা দুশমনরা চাইতো?’ চলচ্চিত্রটিতে বর্তমান প্রজন্ম হিসেবে দেখানো হবে কিছু শিক্ষার্থীদের। যারা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত। তাদের একজন নায়িকা সজল আলি। এদেশ সম্পর্কে সত্যটা জানতে বাংলাদেশে তার আসার ঘটনাও টিজারে দেখানো হয়। এ ছাড়া ছবির বেশকিছু দৃশ্য ধারণ হয়েছে ঢাকাতে। যার বেশিরভাগই ড্রোন ব্যবহার করে শুট করা। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশে বিদেশি শিল্পীদের শুটিংয়ের যে অনুমতিপত্র নিতে হয় ছবিসংশ্লিষ্ট কেউই এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাকিস্তানের কোনও প্রযোজক আবেদন করেননি। মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপসচিব মো: সাইফুল ইসলামজানান, ‘খেল খেল ম্যায়’ চলচ্চিত্রটির বিষয়ে তিনি অবগত নন। এদিকে, ‘খেল খেল ম্যায়’-এর মাধ্যমে আবারও খুলছে পাকিস্তানের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের প্রেক্ষাগৃহগুলো বন্ধ। তাই ছবিটিকে ঘিরে বিশেষ আগ্রহ তৈরি করেছে পাকিস্তানিদের মধ্যে।