March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, May 12th, 2023, 9:45 pm

বাংলাদেশে অনেক এয়ারলাইনসই বিমান পরিচালনা সীমিত করেছে

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অনেক এয়ারলাইনসই বিমান পরিচালনা সীমিত করছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বিমান এবং বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো ইউএইতে নিয়মিত বিমান পরিচালনা করছে। কিন্তু বিদেশি কোম্পানিগুলোর কাছে অর্থ প্রেরণ করতে না পারায় অনেক এয়ারলাইনস তাদের বিমান পরিচালনা সীমিত করেছে। শুধু ইউএই নয়, মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশসহ পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপের অনেক দেশ একই পথ ধরেছে। সিভিল এভিয়েশন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ইউএই বাংলাদেশে থেকে সপ্তাহে মোট ১৪০টি বিমান পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে এয়ারলাইনসগুলো ৬৫ থেকে ৭০টি বিমান পরিচালনা করছে। আর ইউএই থেকে বাংলাদেশে সপ্তাহে ১৪০টি বিমান পরিচালনার অনুমোদন রয়েছে। সেক্ষেত্রে এয়ারলাইনসগুলো সপ্তাহে পরিচালনা করছে ১১৮টি ফ্লাইট। সিঙ্গাপুর, টার্কিশ, কাতার, সৌদিসহ অনেক নামিদামি এয়ারলাইনস তাদের বিমানের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থার মধ্য দিয়েও নতুন এয়ারলাইনসের অনুমোদন দিয়েছে। ফলে বর্তমানে পরিচালনাকারী এয়ারলাইনসগুলো প্রচন্ড চাপের মুখে পড়বে। বিশেষ করে উইজ এয়ার লো-কস্ট এয়ারলাইনস হওয়ায় চাপ আরো বাড়বে। কারণ এ এয়ারলাইনস খরচেরও কম দামে টিকিট বিক্রি করে।

এমনিতেই রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বিমান নানা চাপের মুখে আছে। উইজ এয়ারের মতো বিমান সংস্থা পরিচালনার অনুমোদন পেলে বিদ্যমান এয়ারলাইনসগুলো পথে বসা উপক্রম হবে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশকে সেবা দেয়া বিমান কোম্পানিগুলোর পাওনা দিতে না পারলেও সরকারের কোনো কোনো দপ্তর এ খাতে নতুন নতুন কোম্পানিকে অনুমোদন দিচ্ছে। বিশেষ করে লো-কস্ট (কম খরছে) বিভিন্ন এয়ারলাইনস বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য অনুমোদন নেয়ার অপেক্ষায় আছে। আগামী ১৫ মে থেকে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ইউএই কনসালটেশন বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে লো-কস্ট বিমান পরিবহন সংস্থা ইউজ এয়ারকে বাংলাদেশ-ইউএই রুটে বিমান পরিচালনার অনুমোদন দেয়ার কথা রয়েছে।

তবে বিমান পরিচালনার অনুমতি প্রদানের বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেটি করা হয়নি। বরং অনুমোদনের পর বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে। সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশ বিমানকে লাভজনক করতে এর বহরে নতুন ১০টি এয়ারক্রাফট কেনার জন্য এয়ারবাসের সঙ্গে বাংলাদেশ চুক্তি করেছে। প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফরের সময় এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নতুন এয়ারলাইনসগুলো বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হলে সেগুলোও নতুন করে প্রতিযোগিতায় পড়বে।