November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, March 27th, 2023, 8:16 pm

বাংলাদেশে এসে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে : কিংসলে

অনলাইন ডেস্ক :

২০১১ সালে বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে খেলতে এসেছিলেন নাইজেরিয়ান এলিটা কিংসলে। এখানে এসে খেলতে খেলতে পরিচয় হয় বাংলাদেশি মেয়ের সঙ্গে। নরসিংদীর মেয়ে লিজা বেগম। ২০১২ সালে বিয়ে করেন। বাংলাদেশের কথা শুনেছেন বাঙালি স্ত্রীর কাছে। শুনতে শুনতে সেই থেকেই এলিটার স্বপ্ন এখানেই থেকে যাবেন। ফুটবলই যদি খেলতে হয় তাহলে বাংলাদেশেই খেলবেন। এলিটা বললেন, ‘২০১৫ সালে চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে শেখ কামাল কাপে জয়ের পর আমি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে বাংলাদেশের পতাকা হাতে মাঠে দৌড়েছিলাম। তখন আমার স্ত্রী আমাকে বলল আমি বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলতে চাই কি না। সেখান থেকে আমি বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার অনুপ্রেরণা পাই।’ দেশের অনেক স্ট্রাইকারদের চেয়েও ভালো খেলছিলেন এলিটা। কিন্তু জাতীয় দলের স্বপ্ন নিয়ে তার পথচলা ছিল কঠিন। অনেক চাড়াই-উতরাইয়ের পর এলিটার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বাংলাদেশের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে খেলবেন, খেলেছেন। শনিবার সিলেটে ফিফা প্রীতি ম্যাচে আফ্রিকান দেশ সিশেলসের বিপক্ষে বদলি নেমেছিলেন। গোলের সুযোগও পেয়েছিলেন, তবে হয়নি। সিলেটে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এলিটা বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল নাইজেরিয়া জাতীয় দলে খেলব। কিন্তু যখন এটা হচ্ছিলো না তখন আমি চিন্তা করছিলাম দেশের বাইরে যেয়ে হলেও আমি কোনো জাতীয় দলের হয়ে খেলব। জাতীয় দলে খেলা আমার স্বপ্ন ছিল। সেটা বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলে পূরণ হয়েছে। মাঠে নামার আগে কেমন ছিলেন এলিটা, ‘সত্যি বলতে গেলে আমি নার্ভাস ছিলাম। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানো। মাঠে নেমে গোলের জন্য চাপ থাকে। দুটো একসঙ্গে সামলানো সত্যিই কঠিন। তবে আমি বলব-আমাকে চাপ মুক্তভাবে খেলতে দিন সুযোগ তৈরি করে দিন, আমিও গোল এনে দেব-বললেন এলিটা। সিশেলসের গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল হলো না, এলিটা বললেন, ‘একজন স্ট্রাইকার হিসেবে গোল করাটাই আমার মূল দায়িত্ব। সিলেশসের বিপক্ষে ম্যাচে আমি দুটো সুযোগ তৈরি করেছিলাম। লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন দুটো শটই ওপরে উঠে গেছে। এই মাঠে বল বাউন্স বেশি হয়। এই কারণে বল যেখানে থাকার কথা ছিল বা শট যেভাবে যাওয়ার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। এই মাঠের মান আরো উন্নত করা উচিত। এরই মধ্যে এলিটার সঙ্গে কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার কথা হয়েছে। সাফে খেলবেন তিনি। সাফে নিয়ে পরিকল্পনা করেছেন এলিটা। বললেন,‘শুধু সাফে ভালো খেলাই নয় আমরা এবার শিরোপা জয়ের জন্য খেলতে চাই। জানিনা কপালে কি আছে। তবে আমাদের চিন্তা শুধু গ্রুপ পর্ব পার করা নিয়ে না, আমাদের লক্ষ্য সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ফুটবল সমর্থকদের নিয়ে এলিটা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আমাকে এবং আমার স্বপ্ন পূরণে অনেক সহযোগিতা করেছেন। তারা সবসময় আমার পাশে ছিলেন। এটা আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য তাদের সেই ভালোবাসার প্রতিদান দেওয়া। চাইবো আমার খেলার মাধ্যেমে তাদের আনন্দ উপহার দেওয়ার। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে।