অনলাইন ডেস্ক :
ডেনমার্কের জল-হাওয়ায় বেড়ে উঠেছেন জামাল ভূঁইয়া। তবে শেকড় ভুলে যাননি। বাবা-মায়ের দেশের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে চেপে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বেশ কিছু দিন ধরে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ডও তার হাতে। মাঠে ফুটবলার হয়ে লড়াইয়ের পাশাপাশি এরইমধ্যে ভবিষ্যৎ লক্ষ্যও নির্ধারণ করেছেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে লাল-সবুজ দলের কোচ হয়ে ডাগ আউটে দাঁড়ানোর বড় স্বপ্ন! ৩২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার এরইমধ্যে স্বপ্নের গোড়াপত্তন শুরু করে দিয়েছেন। কোচ হওয়ার প্রথম শর্ত সেই কোচিং লাইসেন্সও নেওয়া শুরু করেছেন। এই তো আগের দিনই এএফসি ‘বি’ লাইসেন্স কোর্সের সার্টিফিকেট পেয়েছেন। ফিফা-এএফসি জাতীয় দলের কিংবা প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলারদের স্বল্পকালীন কোর্সের মাধ্যমে সরাসরি কোচিং লাইসেন্স নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। জামালসহ আরও ৯ জন ফুটবলার এই সুযোগটা লুফে নিয়েছেন। এর মধ্যে মামুনুল ইসলাম, ওয়ালি ফয়সাল, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, জাহেদ পারভেজ চৌধুরীসহ অন্যরা আছেন। যদিও গত বছর এই কোর্সের ক্লাস হয়েছিল। আর রোববার এসে সেই সার্টিফিকেট পেয়েছেন জামালসহ অন্যরা। সামনের জুন-জুলাইতে রয়েছে ‘এ’ লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা। সেখানেও সাফল্যের সঙ্গে পাস করে নিজের কাজটা সেরে নিতে চাইছেন জামাল। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে কেউ বা কোচিংয়ে আসেন। কেউ বা মাঠের ফুটবল দূর থেকে দেখতে পছন্দ করেন। জাতীয় দলের হয়ে ৭০টি ম্যাচ খেলা জামাল অবসরের পর ফুটবল আঁকড়ে ধরেই থাকতে চাইছেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে মনের সুপ্ত ইচ্ছে প্রকাশ করে বলেছেন, ‘সুযোগ এসেছে, তাই কোচিং কোর্সটা করে রাখলাম। ভবিষ্যতে ফুটবল নিয়েই থাকতে চাই। মাঠেই সময় কাটাতে চাই। কোচ হয়ে ডাগ আউটে থাকতে পারলে অনেক ভালো লাগবে। আর লাল-সবুজ দলের কোচ হওয়াটা ভাগ্যের বিষয়। স্বপ্ন আছে সেটাও। যদি সুযোগ হয়।’ তার আগে ক্লাব কোচিংয়ে হাতেখড়ি নিতে চান জামাল। ক্যারিয়ারে যেমন শীর্ষ পর্যায়ে খেলেছেন। কোচিংয়ে আসতে পারলে সেভাবেই নিজেকে দেখার স্বপ্ন, ‘আমার বাবা-মায়ের দেশ। আমারও দেশ। এই দেশের জার্সি গায়ে আমি ফুটবল খেলছি। এখন কোচিং কোর্সগুলো করে রাখছি। জুনে ‘এ’ লাইসেন্স নেবো। এরপর ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে কোচিংয়ে আসার পরিকল্পনা আছে। হয়তো ক্লাব কোচিং দিয়ে শুরু হতে পারে। তবে সামনের দিকে কী হবে তা তো জানি না। আমি আমার কাজ করে রাখছি।’ ডেনমার্ক ও বাংলাদেশের যৌথ নাগরিক জামাল। আরও বছর কয়েক ফুটবল খেলে বুটজোড়া তুলে রাখার ইচ্ছা। তবে যতদিন ফিট আছেন ততদিন খেলা চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য তার। লাল-সবুজ জার্সি গায়ে এই দেশের ফুটবলকে নাড়া দিলেও সেভাবে সাফল্য পাননি। জিততে পারেননি সাফ অঞ্চলের কোনো ট্রফি। এ নিয়ে আক্ষেপও আছে তার, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। কাক্সিক্ষত সাফল্য আসছে না। সামনের দিকে হয়তো একসময় আসবে।’ স্বপ্ন পূরণের পথে এক ধাপ এগিয়ে রইলেন জামাল। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা!
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা