November 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, November 14th, 2022, 7:41 pm

বাইডেন-শি বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের ‘রেডলাইন’ কি চিহ্নিত হবে?

অনলাইন ডেস্ক :

সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চীন মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছানোর মধ্যেই সোমবার (১৪ নভেম্বর) জি-টোয়েন্টি সামিটে জো বাইডেন এবং শি জিনপিং বৈঠক করবেন। বৈঠকে অবশ্যই সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে দুপক্ষই সম্মত হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ২০২১ সালে বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো তারা দুজন ইন্দোনেশিয়ায় মুখোমুখি হচ্ছেন। গত ২১ মাস ধরে তাইওয়ান ইস্যু এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে এবং উত্তেজনা বেড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে চীনকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র জানালেও চীন সে কথা শোনেনি। এ ছাড়া তাইওয়ানের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে বিভিন্ন পদক্ষেপ দেখিয়েছে চীন। বিশেষ করে শি সরকারের নিষেধ সত্ত্বেও গত আগস্টে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের বিতর্কিত সফরের পর তাইওয়ান দখল করা ছাড়া আর যা যা কিছু করার দরকার সবটাই করেছে চীন। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক ও জলবায়ু সংক্রান্ত সব চুক্তি বাতিল করেছে চীন। এদিকে গত রোববার কম্বোডিয়ায় বাইডেন বলেছেন, তিনি চীনের সঙ্গে সোজাসুজি আলোচনা লক্ষ্য নিয়েছেন। বাইডেন আরও বলেছেন, আমাদের মধ্যে খুব কম বিষয়ে ভুল-বোঝাবুঝি আছে। আমাদের এখন রেডলাইনগুলো (সমস্যা) চিহ্নিত করতে হবে। স্পষ্টতই চীনের ক্ষেত্রে সেই রেডলাইন হচ্ছে তাইওয়ান। বেইজিং কখনোই তাইওয়ানকে তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হতে দেবে না। তাইওয়ানের স্বাধীনতার চেষ্টা মানেই সেই রেডলাইন অতিক্রম করা। আর সেক্ষেত্রে চীন যা করার দরকার করবে। গত মাসে বেইজিংয়ে কমিউনিস্ট পার্টি সম্মেলনে শি জিনপিংয়ের কথায় সেটি পুনরায় উচ্চারিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেয়ার অবস্থানে আছি। এই কথার অর্থ হচ্ছে বাইরের শক্তির সাহায্য নিয়ে যদি তাইওয়ান স্বাধীনতা চায় তাহলে চীন সর্বশক্তি দিয়ে তা ঠেকাবে। এদিকে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জেনারেল মার্ক মিলি তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন চীন বিশ্বের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে চায়। এদিকে পেন্টাগন বলেছে, চীন অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি। অন্যদিকে চীনের সরকারি কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো সেকেলে শীতল যুদ্ধের মানসিকতা ধারণ করে। তাদের অবশ্যই সেই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য তাদের। এ মাসের শুরুতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান জানান, মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি আধিপত্যবাদের ধারণা দিয়ে চালিত। এই ধারণা থেকেই বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে তারা চীনকে দমন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ঝাও লিজিয়ান। সূত্র: আরটি নিউজ