দ্য সিটিজেনস প্ল্যাটফর্ম অন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) বলেছে, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো পথ নির্দেশনা নেই।
সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের নেতারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
তিনি আরও বলেন, ‘বাজেটে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। আমরা খুবই আশাবাদী। স্বপ্ন এর চেয়ে ভালো আর হয় না। কিন্তু তা বাস্তবায়নের কোনো দিকনির্দেশনা নেই। উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। আমরা কেন অর্থনৈতিক সংকটে পড়লাম?’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উঠে এসেছে। ব্যাংকিং খাত, সুশাসন নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। বাজারের অনিয়ম, মানি লন্ডারিং রোধে কী হবে, ঋণ সংকট বাজেট বক্তব্যে তা তুলে ধরা হয়নি।’
তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বড় আকারের ঋণে আছি, এটা মেনে নেওয়া যায় না। গত অর্থবছরে আমাদের রাজস্ব আয় বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। আমরা প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছি।’
প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার বিধানেরও সমালোচনা করেছে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।
সংগঠনটির নেতারা জানান, ১৫ শতাংশ নয়, আবাসন খাতে মাত্র ২-৩ শতাংশ বিনিয়োগ করে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ মেনে নেওয়া যায় না।
উপস্থাপনায় তৌফিকুল বলেন, ‘বাজেটে যেখানে আয়কর থেকে অব্যাহতি থাকে। ডিসকাউন্ট পরোক্ষভাবে অনেক কমে যায়। গার্মেন্টস, জ্বালানি, ক্ষুদ্রঋণের মতো প্রত্যক্ষ কর ছাড়ের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেই। পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে কোনও দিকনির্দেশনা নেই। আয়কর ছাড় নিয়েও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ১৫ শতাংশ নগদ দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করা যাবে। কিন্তু গুলশান এলাকায় ফ্ল্যাট কিনলে ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে পার পেয়ে যেতে পারেন। সম্পূর্ণ বৈধ, একই সময়ে এটি প্রদর্শিত হয় যে আপনি ১৫ শতাংশ নয়, দুই- তিন শতাংশ নিয়ে পার পেয়ে যেতে পারেন। একই সঙ্গে ইনডেমনিটির পুরোটাই পরিশোধ করা হয়েছে। কেউ কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির সাম্মানিক ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজ প্রমুখ।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি