November 26, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, June 9th, 2022, 9:31 pm

বাজেট ২০২২-২৩: মূল্যস্ফীতিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বাড়ানো সহ ছয়টি বড় চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে তিনি সম্পূর্ণ বাজেট উপস্থাপন করেছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্পসমূহ নির্ধারিত সময়ে সমাপ্তি নিশ্চিত করা, স্থানীয় মূল্য সংযোজন করের সংগ্রহ বৃদ্ধি, করদাতা ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি, টাকার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে ঝুঁকিমুক্ত পর্যায়ে রাখাও প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে।

কামাল আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আগামী অর্থবছরে রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের কারণে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে ফিরতে পারবে।

বৃহস্পতিবার ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করার সময় তিনি সংসদে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে কোভিড-১৯ মহামারি কাটিয়ে তারা দেশের অর্থনীতিকে মূলধারায় ফিরিয়ে এনেছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এবছরের বাজেটের অগ্রাধিকার হল-সব স্তরের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি করা, নিরবচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলার সাথে সাথে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা।

কামাল বলেন, এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় আমাদের খুব বাস্তববাদী হতে হবে। কারণ সঠিকভাবে এগুলোর মোকাবিলায় ব্যর্থতা, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে অস্থিতিশীল করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধান কৌশল হবে চাহিদা হ্রাস করে সরবরাহ বাড়ানো। তাই আমদানি নির্ভর এবং কম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ব্যয় বন্ধ বা হ্রাস করা হবে।

কামাল বলেন, উচ্চ ও মাঝারি অগ্রাধিকারের প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাড়াতে কম অগ্রাধিকারের প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি কমানো হবে।

তিনি বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও রাসায়নিক সারের বিক্রয়মূল্য পর্যায়ক্রমে এবং স্বল্প পরিসরে সমন্বয় করা হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাজস্ব সংগ্রহ কার্যক্রম এবং ভ্যাট ও আয়কর কভারেজ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর সংগ্রহ সংক্রান্ত অটোমেশন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা হবে। বিলাসবহুল এবং কম প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার প্রতিযোগিতামূলক রাখা হবে।’

—ইউএনবি