বান্দরবানে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া চলমান জঙ্গিবিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া’ এর ১২ জন সদস্য এবং সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন শহরের জেলা পরিষদ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
বান্দরবানের থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া’র সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, সকালে তাদের শহরের র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘এছাড়া আমাদের কাছে ৫৫ জনের একটি তালিকা রয়েছে, যারা জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।’
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মঈন।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য জেলায় জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকায় রোয়াংছড়ি, থানচি ও রুমা উপজেলায় পর্যটনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এলিট ফোর্সের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল যারা আশ্রয় নিচ্ছেন এবং সেখানে যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে ধরা।
গত বছর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেছিলেন, ২০২১ সালে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার আমির পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক সশস্ত্র গ্রুপ কেএনএফের সঙ্গে আগামী বছর পর্যন্ত এলাকায় জঙ্গি প্রশিক্ষণের বিষয়ে একটি চুক্তি করেছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে তিন লাখ টাকা এবং কেএনএফ সদস্যদের খাওয়ার খরচ বহন করতে হবে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম