নিরাপত্তার কারণে জেলার দুইটি উপজেলা যথাক্রমে রুমা ও রোয়াংছড়িতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ২০ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এনিয়ে সপ্তমবারের মতো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ানো হলো। তবে এবার থানচি উপজেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বান্দরবান সেনানিবাস এর ১৬ নভেম্বর তারিখের পত্রের আলোকে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় স্থানীয় এবং বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ১৬ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
তবে থানচি উপজেলা ভ্রমণের ওপর পূর্বের দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়।
পরে রুমা ও থানচিসহ চারটি উপজেলায় ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর, ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর, ৫ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর, ৯ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর এবং সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য ১০ অক্টোবর থেকে পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি এবং সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ সাত জঙ্গি এবং তিনজন স্থানীয় সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে যৌথ বাহিনী।
অভিযানের অংশ হিসেবে সন্দেহভাজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে ভ্রমণের ওপর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে বান্দরবান। শহরের আবাসিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্টগুলোর বেশির ভাগই ফাঁকা।
পর্যটকবাহী গাড়িগুলো নির্ধারিত স্থানে পড়ে আছে। শ্রম নির্ভর শহরের পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম