বান্দরবানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে কেএনএফের ৫৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
রুমা উপজেলার সেনাবাহিনীর জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন জানান, সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, এর মধ্যে ১৮ জন নারী। এছাড়া রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ যৌথ অভিযানে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও কেএনএফের ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে রুমা উপজেলার ব্যাথেল পাড়াসহ ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পাড়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ সরঞ্জামগুলো উদ্ধার করে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন জানান, রবিবার রাতে পুলিশ থানচি ও জেলা সদরের রেইচা ক্যাম্প থেকে তিনজন কেএনএফ সদস্য ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালককে আটক করেছে। আটকদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম লালচিয়াম বম।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানান, রুমা থেকে ৪৯ জন, বান্দরবন থেকে তিনজন ও থানচি থেকে একজন কেএনএফ সদস্যকে আটক করে বান্দরবান জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশি অভিযানে আটকরা হলেন- ভানন্নূন ময় বম, জেমেনিউ বম ও আমে লানচেও বম। এদের বাড়ি রুমা উপজেলার সিমত্লাংপি পাড়ায়। গ্রেপ্তার গাড়ির চালক মো. কফিল উদ্দিন সাগর। তার বাড়ি থানচিতে।
রবিবার রাত থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে বান্দরবানে। জেলার রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় এই অভিযান চলছে। অভিযানে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ৪টি এপিসি।
এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উপজেলাগুলোতে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে সব ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
একই সঙ্গে রুমা উপজেলায় যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাজারগুলো। সেখানকার লোকজন এখন আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
হাসপাতালগুলোকে রোগী এবং আহতদের সেবায় প্রস্তুত রাখার নির্দশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম