April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, April 19th, 2023, 8:03 pm

বাফুফে স্টাফদের মধ্যে আতঙ্ক!

অনলাইন ডেস্ক :

বাফুফে নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তারা সভা বা মিটিং ছাড়া বাফুফে ভবনে সেভাবে আসেন না। বেতনভুক্ত স্টাফরাই ফেডারেশনের দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করতেন। তারা নির্বাহী কমিটির অধনস্ত হলেও অনেকের হাবভাবই ছিল নীতি নির্ধারকদের মতো! এদের ‘গুরু’ সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের নিষেধাজ্ঞার ফলে তারাও এখন শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। বাফুফে প্রশাসনের অভিভাবক ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। অভিভাবক না থাকায় তার ঘনিষ্ঠজনরা এমনিতেই বাড়তি শঙ্কায় রয়েছেন। এর ওপর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রশাসনিক নানা অনিয়ম উঠে আসতে পারে। এর ফলে অনেকেরই চাকরিচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বাফুফের অনেক স্টাফদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফিফা থেকে আর্থিক অনিয়ম ও কেনাকাটা সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছিলেন চার জন।

এর মধ্যে একজন আবু নাইম সোহাগ ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ হয়েছেন। বাকি তিন জনের মধ্যে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও ফিন্যান্স এক্সিকিউটিভ অনুপম সরকারের ওপর ফিফার খড়গ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের ওপর তদন্ত চলছে এটা জানতেন বাফুফের শীর্ষ কর্তারা। সেই সময় সোহাগকে কাজ থেকে সাময়িক অব্যাহতি না দেওয়ার কারণ সম্পর্কে ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছিলেন, ‘তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখানে কিছু করার ছিল না’।

ফিফা থেকে আর্থিক অনিয়ম ও কেনাকাটা সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছিলেন চার জন। এর মধ্যে একজন আবু নাইম সোহাগ ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ হয়েছেন। বাকি তিন জনের মধ্যে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও ফিন্যান্স এক্সিকিউটিভ অনুপম সরকারের ওপর ফিফার খড়গ আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। ফিন্যান্স বিভাগের দুই স্টাফও ফিফার নজরদারিতে রয়েছেন। বাফুফের তদন্তের সঙ্গে ফিফার তদন্ত এক না হলে আরেকবার বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বাফুফেকে। এক সূত্রের খবর, আবু নাইম সোহাগ তার নিষেধাজ্ঞার কারণ ও নেপথ্যের বিষয়গুলো নিয়ে এখনো গণমাধ্যমে মুখ না খুললেও বাফুফের তদন্তে শাস্তি পেলে অনেক স্টাফ থলের বেড়াল উন্মোচন করে দিতে পারেন।

তদন্ত কমিটির গঠন ও কার্যক্রম নিয়েও খানিকটা প্রশ্ন আছে ফেডারেশনের ভেতর। সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত জিনিষ উদঘাটনে সোহাগের স্বাক্ষ প্রয়োজন কিন্তু সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়াবে সর্বশেষ মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত,‘ বাফুফের কোনো কার্যক্রমে সোহাগ আর অংশগ্রহণ করতে পারবে না’। বাফুফের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি আবদুস সালাম মুর্শেদীও ফিফা থেকে চিঠি পেয়েছেন। তিনি এটিকে তেমন গুরুতর বা ভয়ঙ্কর কিছু মনে না করলেও নির্বাহী কমিটির অনেকে এটা নিয়েও শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। সব কিছু মিলিয়ে ফুটবল ফেডারেশনে বিরাজ করছে আতঙ্ক।