অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বকাপে একের পর এক হার। প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর হারের হ্যাটট্রিক করেছে পাকিস্তান। বিশেষ করে সর্বশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হার পাকিস্তানের সামনের পথ অমসৃণ করে তুলেছে। এমন পরিস্থিতি দেশটির সাবেক পেসার শোয়েব আখতার নিজেকে আর স্থির রাখতে পারছেন না। হার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মাঠের পারফরম্যান্স খারাপ হবে অথচ শোয়েব আখতার চুপ থাকবেন এটা হতেই পারে না। আফগানিস্তানের কাছে হারের পর চুপ থাকেননি সাবেক এই পেসার। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কর্তাদের কথার বানে ধুয়ে দিয়েছেন। সাবেক এই দ্রুততম বোলার বলেন, দলের এমন পারফরম্যান্স দেখার পর তেমন কিছু বলার থাকে না। আল্লার দোহাই, যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য দায়িত্বে রাখেন। যে কেউ বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়ে যাচ্ছে। যতদিন গড়পড়তা লোক দায়িত্বে থাকবে ততদিন এমন গড়পড়তা পারফরম্যান্সই পেতে হবে। শোয়েব আরও বলেন, টেলিভিশনে যা দেখলাম পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এটাই সঠিক চিত্র। গত ২০-৩০ বছর ধরে যা হয়েছে তার সরাসরি ফল এটি। বর্তমান পাকিস্তান দলে এমন কেউ নেই যাকে দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হতে পারে।’
শোয়েব বলেন, আমাকে এমন একজনকে দেখান যাকে দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হবে। আমি আমার সামনে ওয়াকার ইউনুস, ওয়াসিম আকরাম, ইমরান খান, স্টিভ ওয়াহ, অ্যালান বোর্ডার ভিভ রিচার্ডসকে দেখেছি। একটা বাচ্চা যে ক্রিকেটে আসবে সে কাকে দেখে অনুপ্রাণিত হবে? আমাদের ভিডিও এখনো অন্যরা দেখছে। কেননা আমরা অন্যান্যের অনুপ্রাণিত করেছিলাম। হৃদয়ে রক্তক্ষরণের কথা উল্লেখ করে শোয়েব বলেন, আমি পাকিস্তান দলের হয়ে খেলেছি। তাদের এমন পারফরম্যান্সে আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এমন অবস্থায়ও আমি দলের পাশে আছি। যদি আমি এখন বাবরদের সঙ্গে থাকতাম তাহলে বাবরকে বলতাম, অধিনায়ক হিসেবে আরো জেগে ওঠো। যা হয়েছে তা খুবই বাজে। এখন আমাদের আরো চারটি ম্যাচ রয়েছে, সবগুলো জয় করো। বাবর আজমের উদ্দেশে শোয়েব বলেন, বাবর যদি আমার ডিভিও দেখে তাহলে
তাকে বলতাম, আমাদের সিস্টেমে গন্ডগোল আছে, এসব বাদ দাও। সঠিক ব্যক্তিকে খেলার সুযোগ দাও। ফখর জামানকে ফিরিয়ে আন। তাকে আক্রমণাত্মক হওয়ার লাইসেন্স দাও। অন্য কোনো সুযোগ থাকলে কাজে লাগাও। আক্রমণাত্মক খেল, স্ট্রাইক রেট বাড়াও। পাকিস্তান প্রতি ম্যাচে ১৫০ বল ডট করছে। এটা আমাদের ভীত করে তুলছে। সবশেষে শোয়েব বলেছেন, বাবর আজম কি নিজেকে তুলে ধরতে পারবেন? ১৯৯২ সালে ইমরান খান যেমন করেছিলেন তেমন করার সাহস কি তার আছে? শাহিন আফ্রিদি কি ওয়াসিম আকরাম হতে পারবেন? হারিস রউফ কি আকিব জাভেদের জায়গা নিতে পারবেন? শাদাব খান কি মুস্তাক আহমেদ হতে পারবে? আমার বিশ্বাস সে সামর্থ্য তাদের রয়েছে কিন্তু তার কি তা বিশ্বাস করে? একমাত্র সৃষ্টিকর্তা তা জানেন।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা