অনলাইন ডেস্ক :
খেলায় তখন ১-১ সমতা। প্রথম মিনিটে গোল করার পরও বার্সেলোনা শঙ্কায় পয়েন্ট হারানোর। শাভি এরনান্দেস তখন বদলে ফেললেন কৌশল। একসঙ্গে দুটি পরিবর্তন আনলেন তিনি আক্রমণ ধারাল করতে। ব্যস, ভোজবাজির মতো যেন বদলে গেল ম্যাচের চিত্র। বাকি সময়টায় দাপুটে খেলে বড় জয়ে মাঠ ছাড়ল বার্সেলোনা। কোচের মুখে তৃপ্তির হাসি নিজের ওই কৌশল কাজে দেওয়ায়। লা লিগায় রোববার রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠে ৪৬ সেকেন্ডেই গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। তবে ৫ মিনিট পরই সমতায় ফেরে সোসিয়েদাদ। এরপর ম্যাচে আর গোল হয়নি প্রায় ৬০ মিনিট ধরে। ৬৪তম মিনিটে একসঙ্গে আনসু ফাতি ও রাফিনিয়াকে নামান শাভি। খেলার রঙ বদলে যেতেও সময় লাগেনি। ফাতি ও রাফিনিয়া দুর্দান্ত খেলে অসহায় বানিয়ে রাখেন প্রতিপক্ষকে। মাঠে নামার মিনিট দুয়েকের মধ্যে ছাপ রাখেন ফাতি। তার দুর্দান্ত ব্যাকহিল পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন উসমান দেম্বেলে। একটু পর ফাতির পাস থেকেই গোল করে নিজের দ্বিতীয় গোলের স্বাদ পান লেভানদোভস্কি। ৭৯তম মিনিটে জালের দেখা পান ফাতি নিজেও। ৪-১ গোলে জিতে যায় বার্সেলোনা। ড্র দিয়ে মৌসুম শুরুর পর এই জয় দলে এনে দিয়েছে স্বস্তি। ম্যাচ শেষে মুভিস্টার প্লাসকে শাভি বললেন, সাহসের পুরস্কার হিসেবেই ধরা দিয়েছে এই ফল। “বদলি নামানোর ক্ষেত্রে আমরা ঝুঁকি নিয়েছিলাম, কারণ আমাদের আগ্রাসী হওয়া প্রয়োজন ছিল। রাফিনিয়া ও ফাতিকে নামানোর পর আক্রমণভাগেই ছিল ৫ জন ফুটবলার। তাতে নিচের দিকে ঝুঁকি ছিল। তবে মাঝবিরতিতে আমরা এটাই আলোচনা করেছিলাম যে, ফাঁকা জায়গাগুলো আরও ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে আক্রমণ শানাতে হবে আমাদের। ভালো লাগছে যে এটা কাজে লেগেছে।” আগের ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছিল বার্সেলোনা। এই ম্যাচে গোল করে লা লিগায় ৩৬০ মিনিটের গোল খরা কাটল তাদের। কোচ শাভি দারুণ খুশি দল ঘুরে দাঁড়ানোয়। “গত সপ্তাহের ফল ছিল ভীষণ হতাশাজনক। তবে এই জয় আমাদেরকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। ব্যাপারটা হলো লড়াই করা ও সামনের সব চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে যাওয়ার তাড়না থাকা।”
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা