নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৯৭২ সালের বার কাউন্সিলের অর্ডার সংশোধনের পর অ্যাডহক কমিটি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে অ্যাটর্নি জেনারেলকে চেয়ারম্যান করে অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন, সিনিয়র অ্যাডভোকটে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বাদল, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, অ্যাডভোকেট শাহ খসরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মো.কামরুল ইসলাম, ঢাকা আইনজীবী সমিতির কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির মুজিবুল হক, সিলেট আইনজীবী সমিতির এ এফ রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতির মো. কবীর উদ্দিন ভূঁইয়া, খুলনা আইনজীবী সমিতির পারভেজ আলম খান, রাজশাহী আইনজীবী সমিতির মো. ইয়াহিয়া এবং সিরাজগঞ্জ আইনজীবী সমিতির মো. আবদুর রহমান। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ কমিটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এ কমিটি ৩১ মে’র মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করবে। নির্বাচিত কমিটি ১ জুলাই দায়িত্বভার নেবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বার কাউন্সিলে অ্যাডহক কমিটি করতে একটি অধ্যাদেশ সংশোধনের অনুমোদন দেয় সরকার। পরে ২৮ জুলাই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনের পর গত মঙ্গলবার আরেকটি প্রজ্ঞাপনে কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। ২৬ জুলাই বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ৩১ মে’র মধ্যে বার কাউন্সিলের নির্বাচন করে তিন বছরের জন্য কমিটি নির্বাচিত করতে হয়। এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশে নির্বাচনের কোনো বিকল্প রাখা নেই। সেজন্য অধ্যাদেশটি সংশোধন করে এক বছরের জন্য অ্যাডহক কমিটি করার বিধান যুক্তের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠকে ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাক্টিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ১৯৭২ সালের বার কাউন্সিল অধ্যাদেশে বলা আছে, বার কাউন্সিলে ৩১ মে’র মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তিন বছরের জন্য কমিটি নির্বাচিত হবে। গত এক-দেড় বছরে যে প্যান্ডেমিক সিচুয়েশন, তাতে ইলেকশন করা সম্ভব হয়নি। মহামারি বা কোনো বিশেষ পরিস্থিতে ভোট না হলে বিকল্প কী হবে, সেটার কোনো ব্যাখ্যা অধ্যাদেশে ছিল না উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সামহাউ ওই অধ্যাদেশের মধ্যে কোনো অল্টারনেটিভ ছিল না। যদি কোনো কারণে ইলেকশন না হয়, রাষ্ট্রীয় কারণে বা আইনশৃঙ্খলার কারণে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগেÑএসব ক্ষেত্রে কী করণীয় সেটা আগের আইনে ছিল না। বার কাউন্সিলের ৩১ মে’র ডেট শেষ হয়ে গেছে। ওঁরা একটা প্রস্তাব নিয়ে আসছেন। এটা হলো যে, এক বছরের অ্যাডহক কমিটি সরকার করে দিতে পারবে, এরকম একটা বিধান নিয়ে আসছে। কমিটি ১৫ সদস্যের হবে বলেও জানান তিনি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে নির্বাচন হয়েছিলো। ওই নির্বাচনে নির্বাচনে ১৪টি আসনের মধ্যে ১২টি আসনে জয়ী হয়েছে সরকার সমর্থকদের সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ। অপরদিকে, বিএনপি জোটের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল পেয়েছিলো মাত্র দু’টি আসন।
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ