দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
একই সঙ্গে তৈমুর আলমের নির্বাচনি প্রধান এজেন্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকেও প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার স্থলে মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আব্দুস সবুর খান সেন্টুকে।
দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার পর গত ৩ জানুয়ারি তৈমুরকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ এবং নারায়ণগঞ্জ মহগানগর বিএনপির আহ্বায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন তার প্রাথমিক সদস্য পদ ছিল।
এরপর হাতি প্রতীক নিয়ে মেয়র নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে থাকেন তৈমুর। তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল।
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন তৈমুর। পরে দলের নির্দেশে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
আইনজীবী তৈমুর দীর্ঘদিন ধরে বিএনপিতে যুক্ত ছিলেন। বিএনপির ক্ষমতায় থাকাকালে বিটিআরসির চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন তিনি।
২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের পর তৈমুরকে দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়।
গত রোববার ভোট শেষে তৈমুর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “তৈমুর আলমের খন্দকারের পদ-পদবি লাগে না। বিএনপি রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। এটা নিয়ে মরতে চাই।”
তার দুদিন পরই বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হলেন তিনি।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম