April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, October 14th, 2021, 8:49 pm

বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর জামিন শুনানি আগামী সপ্তাহে

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর জামিন আবেদনের শুনানি আগামী সপ্তাহে হতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই সময় দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী বলেন, আসলাম চৌধুরীর দুটি মামলায় জামিন আবেদন শুনানির জন্য তালিকায় ছিল। কিন্তু আমাদের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন সময় দিতে না পারায় আমরা সময় চেয়েছিলাম। আদালত সেই আবেদন নটদিস উইক করেছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও মো. সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ। রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল এবং বাবুবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে নাশকতার অভিযোগে ওই বছরের একই মাসের ২৩ এপ্রিল মামলা দুটি হয়। এ দুই মামলায় আসলাম চৌধুরীকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছিল। এর দীর্ঘদিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে এ দুই মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি। এর আগে ভারতে গিয়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক কর্মকর্তার সঙ্গে ‘সরকার উৎখাতের’ জন্য আলোচনা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে দিল্লি ও আগ্রার তাজমহল এলাকায় ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাক্ষাতের বেশকিছু ছবি প্রকাশিত হলে দেশ-বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়। ২০১৬ সালের ১৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরী ও তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. আসাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর)। পরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরদিন ১৬ মে ৫৪ ধারায় (সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রের সন্দেহ) গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের দুজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর ওই বছরের ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দায়ের করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা। দ-বিধির ১২০ (বি), ১২১ (৩) ও ১২৪ (এ) ধারায় ডিবির পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে ওই মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন।