জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ফরিদুল ইসলাম (২১) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার পর নিহতের মরদেহ বিএসএফ নিয়ে গেছে বলে ভুক্তভোগীর পরিবার দাবি করেছে। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব কাউয়ারচর সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০৫৭-৩ এস-টির কাছে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জামালপুর ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনতাসির মামুন নিহতের খবর নিশ্চিত করেন। তবে এ বিষয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। নিহত ফরিদুল দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। তার মরদেহ বিএসএফের কাছ থেকে ফেরত আনার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। ফরিদুলের দুলাভাই শহিদ মওলা বলেন, ‘বিজিবির কাছে মরদেহ হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছি। তবে বিজিবি এখন পর্যন্ত কোনও কিছু বলেনি।’ স্থানীয়রা জানান, গতকাল রোববার ভোরে ফরিদুল ইসলামসহ ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল ভারত থেকে গরু পাচারের জন্য পূর্ব কাউয়ারচর সীমান্তের সীমানা পিলার ১০৫৭-৩ এস-টির কাছে যায়। এ সময় ভারতের ৪৫ ব্যাটালিয়নের কুকুরমারা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফরিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় ফরিদুলের সঙ্গীরা পালিয়ে গেলে বিএসএফ সদস্যরা ফরিদুলের মরদেহ নিয়ে যায়। দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে ফরিদুল নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। তার মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে দাঁতভাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদারকে জানানো হয়েছে।’ মুনতাসির মামুন বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে বিএসএফের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি জেনেছি। এ ধরনের ঘটনায় সাধারণত বিএসএফের পক্ষ থেকে আমাদের অবহিত করা হয়। কিন্তু গতকাল রোববার বিকাল পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।’
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি