ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ চুক্তির সম্প্রসারণ জরুরি, বলছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা
ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ ‘বিএসজিআই’ -এর মেয়াদ ১৭ জুলাই শেষ হওয়ার পর নবায়ন না করলে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মুখোমুখি হবে। ফলে বাংলাদেশের ব্যবসাগুলো এই পরিস্থিতিতে অনেকটা‘উদ্বিগ্ন’৷
এবতাবস্থায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ সরকারকে বিএসজিআই চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য জোরালোভাবে তাগিদ দিচ্ছে। কারণ, এটি বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রাণশক্তি।
মঙ্গলবার এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, আইসিসি বাংলাদেশ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ডিসিসিআই সভাপতি, মো. সমীর সাত্তার, এমসিসিআই সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম,সিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এফআইসিসিআই সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় এই আহ্বান জানান।
ইউক্রেন যুদ্ধের আগে থেকে বিএসজিআই আজ অবধি তিনটি ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে তিনটি মহাদেশের ৪৫টি দেশে ৩২ মিলিয়ন মেট্রিক টনেরও বেশি খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি করার সুবিধা দিয়েছে। যার অনুপাত কৃষ্ণ সাগরের মধ্য দিয়ে স্বল্পোন্নত অর্থনীতিতে রপ্তানি করা গমের অনুপাত পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে।
কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে এই বাণিজ্যের প্রত্যক্ষ ফল এটি। সেইসঙ্গে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে খাদ্য ও সার রপ্তানি। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রতিবেদন করেছে যে ২০২২ সালের মার্চ থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ২২ শতাংশ কমেছে।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি আবারও ইউক্রেন থেকে ২০২১ সালের মতো একই পরিমাণে গম সংগ্রহ করছে। আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনে মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে প্রায় সাত লাখ টন গম ক্রয় করছে।
তারা বলেছে, ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান খাদ্য ও সার রপ্তানির অব্যাহত সুবিধা এইভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্ধিতকরণের মাধ্যমে, বিএসজিআই-এর যে কোনও ত্রুটি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জন্য খাদ্যের প্রাপ্যতা এবং ক্রয়ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। এমন একটি পরিস্থিতি যা সত্যিকার অর্থে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সর্বোপরি মানবিক পরিণতিগুলোর জন্য ক্ষতিকর হবে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি