নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) সংক্রমণ রোধে দেশের বিভিন্ন বন্দরে (স্থল, নৌ, বিমান ও রেল স্টেশন) ৩৫ লাখেরও বেশি বিদেশফেরত যাত্রীর হেলথ স্ক্রিনিং সম্পন্ন হয়েছে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তার আগে থেকেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ ও বিমানবন্দর এবং রেলস্টেশনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিদেশফেরত যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং শুরু হয়। গত বুধবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বন্দরে সর্বমোট ৩৫ লাখ ১৩ হাজার ৩৩৮ জন যাত্রীর হেলথ স্ক্রিনিং সম্পন্ন হয়। তার মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে ২৭ লাখ ৩১ হাজার ১৫২ জন, স্থলবন্দরগুলোতে ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৬৪৩ জন, সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১ লাখ ২০ হাজার ৫১৪ জন ও রেল স্টেশনে ৭ হাজার ২৯ জন যাত্রীর হেলথ স্ক্রিনিং সম্পন্ন হয়। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ আগের তুলনায় কমে আসায় দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বিদেশফেরত যাত্রীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন বন্দর দিয়ে মোট ৯ হাজার ৫২৬ জন যাত্রীর হেলথ স্ক্রিনিং সম্পন্ন হয়। তার মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৮ হাজার ২৪২ জন, স্থলবন্দরে ১ হাজার ১১৯ জন ও সমুদ্রবন্দরে ১৬৫ জন যাত্রীর হেলথ স্ক্রিনিং সম্পন্ন হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বিদেশফেরত যাত্রীদের প্রত্যেককে হেলথ কার্ড পূরণ করতে হয়। এ ছাড়া কোথাও থার্মাল স্ক্যানার বা কোথাও হ্যান্ডহোল্ড স্ক্যানারের মাধ্যমে পরিবারসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি বর্তমানে করোনার প্রতিষেধক টিকার সনদ চেক করা হচ্ছে। কারও সনদ না থাকলে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম