May 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, July 31st, 2023, 8:23 pm

বিদেশি দূতাবাসের সামনে কুরআন পোড়ানোকে অবৈধ ঘোষণা করতে পারে ডেনমার্ক

এপি, হেলসিঙ্কি:

ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন স্থানীয় সময় রবিবার (৩১০ জুলাই) বলেছেন, নর্ডিক দেশে বিদেশি দূতাবাসের সামনে কুরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় পবিত্র গ্রন্থের অবমাননাকে বেআইনি ঘোষণা করার কথা ভাবছে সরকার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেনিশ পাবলিক ব্রডকাস্টার ডিআর-এর সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো ‘এমন একটি বিশ্বে বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে, যার আসলে ঐক্যের প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘তাই আমরা সরকারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা দেখব কিভাবে বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্যান্য দেশের বিদ্রুপ বন্ধ করতে পারি। যা ডেনিশ স্বার্থ এবং ডেনিশদের নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।’

ডেনমার্ক এবং প্রতিবেশী সুইডেনে মুষ্টিমেয় কিছু ইসলামবিরোধী মানুষের প্রকাশ্যে কুরআন অবমাননার সাম্প্রতিক ঘটনায় মুসলিম দেশগুলোতে প্রচণ্ড বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

লোকে রাসমুসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের মন্ত্রিসভা মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে আপস না করে এই ধরনের কাজ নিষিদ্ধ করার জন্য ‘একটি আইনী পন্থা’ খুঁজে বের করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে এটি সহজ হবে না।

তিনি ডিআরকে বলেছেন, ‘অবশ্যই ধর্মীয় সমালোচনার জায়গা থাকতে হবে। একটি ব্লাসফেমি ধারা পুনঃপ্রবর্তনের কোনো চিন্তা আমাদের নেই।’

তিনি বলেন,‘কিন্তু আপনি যখন বিদেশি দূতাবাসের সামনে দাঁড়িয়ে কুরআন পোড়ান বা ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে তাওরাত পোড়ান; তখন তা বিদ্রুপ করা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয় না।’

রবিবার ডেনিশ সরকারের জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ড্যানিশ সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তবে ডেনমার্কে মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থের অবমূল্যায়নের ফলে জাতিটি বিশ্বের অনেক জায়গায় ‘এমন একটি দেশ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে, যারা অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি, ধর্ম ও ঐতিহ্যের অপমান ও অবমাননার সুযোগ দেয়।’

এতে আরও বলা হয়েছে, সরকার আবারও এই ধরনের অবমাননার নিন্দা করেছে এবং বলেছে যে তারা ‘গভীরভাবে আপত্তিকর ও বেপরোয়া কাজটি নির্দিষ্ট কিছু মানুষ করেছে’ এবং ‘তাদের এই কাজ ডেনিশ সমাজ যে মূল্যবোধের উপর নির্মিত তা প্রকাশ করে না।’

সুইডেনে প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন রবিবার ইনস্টাগ্রামে বলেছেন, তার সরকার কুরআন এবং অন্যান্য পবিত্র গ্রন্থের অবমাননা সংক্রান্ত আইনী পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছে। কেননা শত্রুতার পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের কাজগুলো সুইডেনের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করছে।

ক্রিস্টারসন বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমরা সবচেয়ে গুরুতর নিরাপত্তা নীতির মধ্যে আছি।’

সুইডেন ও ডেনমার্কে কোরআন পোড়ানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)।