April 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, August 19th, 2021, 7:57 pm

বিদেশের মাঠে প্রথম জয় পেল বসুন্ধরা

অনলাইন ডেস্ক :

এএফসি কাপ ফুটবলে বিদেশের মাঠে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিজেদের নাম খোদাই করে রাখল বসুন্ধরা কিংস। বুধবার রাতে মালদ্বীপের মালেতে অনুষ্ঠিত এএফসি কাপের ডি গ্রুপের খেলায় বসুন্ধরা কিংস ২-০ গোলে হারিয়েছে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশনকে। এর আগে বিকেলে উদ্বোধনী ম্যাচে মোহনবাগান ২-০ গোলে ব্যাঙ্গালুরু এফসিকে হারায়। বসুন্ধরার দ্বিতীয় খেলা আগামীর শনিবার ব্যাঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে। দুর্দান্ত সূচনা করেছে বসুন্ধরা কিংস। বিদেশের মাটিতে অনেক অপেক্ষার ম্যাচে নেমেই স্বাগতিক দেশের ক্লাবকে হারানো কঠিন কাজ হলেও সেটি দারুণভাবে করে দেখিয়েছে। বসুন্ধরার আক্রমণে তিন অস্ত্র আর্জেন্টিনার রাউল বেসেরা সঙ্গে দুই ব্রাজিলিয়ান জনাথন এবং রবসন রবিনহো মাজিয়ার রক্ষণ দুমড়ে-মুচড়ে চুরমার করে দিয়ে প্রথমার্ধেই গোল আদায় করে নিয়েছেন। অধিনায়ক ইরুফাকে বোকা বানিয়ে দুই গোল আদায় করে বসুন্ধরা। প্রথম গোলটি আত্মঘাতী। দ্বিতীয় গোল করেছেন রবসন রবিনহো। মাজিয়ার মিডফিল্ডার অধিনায়ক ইরুফান নিচে নেমে দলকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই নিজেদের জালে বল ফেলে দিয়েছেন। আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা ১-০। অবশ্য এই গোলের আগেই মাজিয়ার আক্রমণ বসুন্ধরার গোল সীমানায় ঘোরাঘুরি করছিল। সম্ভাবনা তৈরি করছিল। কাজী তারিক, সুফিল, তপু বর্মণরা সাবধান থাকায় ফায়দা তুলে নিতে পারেনি। রাউল, জনাথন, রবিনহোÑএই তিনের পেছনে সুফিল, বিপুল, মাসুক মিয়া জনিদের সাহসী খেলা আভাস দিচ্ছিল বসুন্ধরা যে কোনো মুহূর্তে দ্বিতীয় গোলের দেখা পাবে। ৩৯ মিনিট আবার সেই মাজিয়ার অধিনায়ককে দুই দফায় ডজ দিয়ে মাটিতে ফেলে গোল করেন রবসন রবিনহো ২-০। মাজিয়ার ছিল স্পেন এবং জাপানি ফুটবলার। তারা চেষ্টা করেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে মাজিয়া জ¦লে উঠলেও সেই তুলনায় বসুন্ধরা ভালো খেলেছে। সুযোগ পেয়েছিল, মাজিয়ার গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল হয়নি। রবসন দ্বিতীয় গোল করতে পারতেন।
একাদশে যারা খেলেছেন: জিকো, তপু বর্মণ (অধিনায়ক), বিশ্বনাথ ঘোষ, খালেদ শফি (ইরান), তারিক কাজী, বিপলু আহমেদ, মাসুক মিয়া জনি, সুফিল আহমেদ, রাউল অস্কার বেসেরা (আর্জেন্টিনা), রবসন রবিনহো (ব্রাজিল), জনাথন ফার্নান্দো (ব্রাজিল)।