May 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, December 17th, 2023, 8:48 pm

‘বিদেশে স্বাধীনতার পতাকা উঠিয়েছি আমরাই প্রথম’

অনলাইন ডেস্ক :

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নামফলক বাফুফে ভবনে স্থাপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে। এতদিন পর আবার সেটি আরও নতুন ভাবে সাজিয়ে, দৃষ্টিনন্দন ভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নাম ফলকটি এখন বাফুফে ভবনের দোতলায় উঠতেই চোখে পড়বে। বিদেশি নানা অতিথি আসেন বাংলাদেশে। কিন্তু চোখের কোনায় থাকা নাম ফলকটি অনেক সময় দৃষ্টি কাড়তে পারে না। শ্বেতপাথরের ওপর সেটি ছিল বাংলায় লেখা। এবার বাফুফে সেই নাম ফলকটি বাংলার সঙ্গে ইংরেজি যোগ করেছে। দুই ভাষায় লেখায় এখন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নামগুলো বিদেশিদের চোখে পড়ার সুযোগ হবে। কোচ, ম্যানেজারসহ ৩৬ ফুটবলারের নাম উল্লেখ রয়েছে।

নতুন করে নামফলক উন্মোচন করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন এবং ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না, দলের খেলোয়াড় শেখ আশরাফ আলী, আবদুস সাত্তার, সুভাষ চন্দ্র সাহা, আমিনুল ইসলাম সুরুজ উপস্থিত ছিলেন। বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা দাবি করতে পারি, আমরা প্রথম স্বাধীনতার বাংলাদেশের ফ্ল্যাগ বিদেশের মাটিতে উঠিয়েছে ফুটবল টিম। জাতীয় সঙ্গীতও গাওয়া হয়েছে। তখন কিন্তু আমরা স্বীকৃত না। এটা নিয়ে অনেক সমস্যা হয়েছিল। ভারতের কৃষ্ণনগরে বলেছিল জাতীয় পতাকা না উঠালে আমরা খেলব না। পতাকা উঠানো হলে আমরা খেলতে নামি। স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের অবদান আছে।’

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমাদের যুদ্ধের সময় পাবলিসিট করার দরকার ছিল, সবাইকে জানানো নতুন একটা দেশ হতে যাচ্ছে। আমরা সেই দায়িত্বটাই পালন করেছি। আপনারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দেখবেন পাবলিসিটি করাটা গুরুত্বপুর্ণ একটা বিষয় ছিল। আমাদের অবদান ছিল আমরা আঠারো বিশটা জায়গায় ফুটবল খেলেছি। কলকাতা, বোম্বে, মালদাসহ বহু জায়গায় খেলেছি, ২০টা ম্যাচ। সবাইকে জানিয়েছি বাংলাদেশ আসছে এবং একটা শিক্ষিত দেশ, শিক্ষিত লোকজন, সবদিকেই টপে। আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে মোহন বাগানের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করি। কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি ভারত তখন এশিয়া ফুটবলের টপে থাকা দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের বাঙালি ফুটবলাররা এসে ড্র করবে। তখনই আমাদের প্রতি সবার শ্রদ্ধা বেড়ে যায়। নতুন প্রজন্মকে বলব দেশকে ভালোবাসো।’

দলের ম্যনেজার তানভীর মাজহার তান্না বলেন, ‘আমি সালাহউদ্দিন এবং বাফুফেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই তারা এটা (নাম ফলক) করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের গিয়ে ফুটবল খেলে পৃথিবীকে নাড়িয়ে দেওয়ার কাজা করেছিল একঝাঁক তরুণ ফুটবলার। সেই দলের ম্যানেজার তান্না বলেন, ‘এখানে (বাংলাদেশে) তখন নিরাপত্তা ছিল না। এখনকার মতো প্রচার ছিল না। ভারতে যেটা ছিল। আমাদেরকে ওঁরা চয়েস করলেন পাবিলিসিটি করার জন্য। যখন বম্বেতে খেলেছি তখন ওদের বম্বের গভর্নর মাঠে ছিলেন, টপ অভিনেতা, অভিনেত্রী ছিলেন, মনসুর আলী খান পাতৌদি খেলেছেন, শর্মীলা ঠাকুর মাঠে ছিলেন। আমরা পাবলিসিটি যেটা করেছি এটা দুনিয়াতে বিরল। এটা খুবই স্পেশাল। আমি গর্বিত। মোহন বাগান বলব না, কারণ মোহান বাগানের ফুটবলাররাই খেলেছেন গোষ্ঠপাল একাদশ নামে। গোষ্ঠপাল হচ্ছেন ভারতের প্রথম ফুটবল অধিনায়ক। তার নামে একাদশ খেলেছে। গোষ্ঠপাল বললেন, আপনাদের ছেলেরা ভালো খেলে, আমি বললাম ছেলেরা না খেয়ে এসেছে আরও ভালো খেলবে।’