অনলাইন ডেস্ক :
উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন জাতীয় জনতার জোটের চেয়ারম্যান । তিনি আরো বলেন, সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। এর দায় সাধারণ জনগণ নেবে না।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০.৩০ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় জনতার জোটের যৌথ উদ্যেগে , বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় জনতার জোটের চেয়ারম্যন এর চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন, একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়।
মোঃ দেলোয়ার বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছিলাম যে, দেশের অভ্যন্তরিন উৎস থেকে বিদ্যুতের প্রাথমিক জ্বালানী (গ্যাস ও কয়লা) সংগ্রহের জন্য বিনিয়োগ বাড়িয়ে কম খরচের বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা। সরকার আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। সরকারের ভুল নীতির কারণেই বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। আর এখন বৈদেশিক ঋণের শর্ত পূরণ করতে ভর্তুকি প্রত্যাহারের নামে জনগণের কাঁধে এই মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপানো হচ্ছে।’
দেশের প্রখ্যাত জ্বালানী বিশেষজ্ঞদের মতামত, দাম না বাড়িয়ে বরং দক্ষ ব্যবস্থাপনার ও সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব।
কর্মসূচীতে জাতীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, রেন্টাল, কুইক রেন্টাল এখনো বন্ধ করা হয়নি। বিদ্যুৎ খাতের দায়মুক্তি আইন বাতিল করা হয়নি। অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার বোঝা জনগণের কাঁধেই চাপানো হচ্ছে। আলোচনায় নেতারা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি, অথচ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কশাঘাতে জনজীবন অতিষ্ঠ। এরপর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি হলে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়াবে। তারাও দাম বাড়িয়ে জনগণের কাঁধে ওই উৎপাদিত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপাবে।
নেতারা বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সচেতন মানুষদের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সর্বজনিন দলের সভাপতি রাসেল কবির, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোস্তাক ভাসানী, বাংলাদেশ সর্বজনীন দলের মহাসচিব সাহেল আহমেদ সোহেল, বাংলাদেশ তিসরী ইনসাফ পার্টির সভাপতি মিনহাজ প্রধান, বাংলাদেশ জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি শাহাবুদ্দিন মাহাতাব, কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ আব্দুল আউয়াল, সার্জেন্ট (অঃ) বাসির মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় জনতার জোটের মুখ্য সমন্বয়কারী চাষী মাসুম।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি