November 5, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, August 14th, 2024, 8:13 pm

বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে বিইআরসির ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও স্টেকহোল্ডাররা।

তারা বলেন, এ ধরনের কর্তৃত্ব জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ফেরত গেলে কোনো কারণ ছাড়াই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ঘন ঘন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রবণতা বন্ধ হবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জেষ্ঠ সহসভাপতি অধ্যাপক এস এম শামসুল আলম বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’

এর আগে গণশুনানি ছাড়াই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সমন্বয়ের সুযোগ রেখে ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন-২০০৩ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি জারি করেছে।

অধ্যাদেশ জারির আগে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের আইনি ক্ষমতা ছিল বিইআরসির। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে গণশুনানি করতো বিইআরসি।

বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমতউল্লাহ বলেন, ‘এ ধরনের গণশুনানি যে কোনো মূল্য বাড়ানোর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং এর মাধ্যমে জনগণের কাছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।’

তিনি আরও বলেন, নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্য ও অগণতান্ত্রিক চর্চার অবসান ঘটানোর দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাই সব ধরনের জ্বালানির দাম নির্ধারণের কর্তৃত্ব বিইআরসির কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

অধ্যাদেশ জারির পর থেকে গণশুনানি ছাড়াই নিয়ম করে বিরতি দিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে সরকার।

এই অধ্যাদেশ জারির আগ পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম বা গ্যাসের দাম নির্ধারণের আগে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের স্ব স্ব প্রস্তাব জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা দিতে হতো। এরপর তাদের পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরার জন্য গণশুনানি করতে হতো।

গণশুনানিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই ও দীর্ঘ বিতর্কের পর বিইআরসি সিদ্ধান্ত নিত।

গণশুনানিতে স্টেকহোল্ডার ও ভোক্তারা প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসান ও মুনাফার হালনাগাদ তথ্য এবং দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কারণ সম্পর্কে জানতে পারেন।

অধ্যাপক এস এম শামসুল আলম বলেন, গণশুনানি প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জেনে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ফারহান নূর বলেন, বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বিইআরসিকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, ‘এর ফলে ভোক্তাদের প্রকৃত পরিস্থিতি বুঝতে এবং দাম বাড়ানোর যে কোনও পদক্ষেপের আগে পক্ষে ও বিপক্ষে যৌক্তিকতা খুঁজে পেতে সহায়তা করবে।’

—–ইউএনবি