অনলাইন ডেস্ক :
মোখার পর এবার আসছে তেজ। আরব সাগরে ৮ জুন থেকে ১০ জুনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’ উৎপত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এটি তৈরি হলে আছড়ে পড়ার সময় বিধ্বংসী আকার ধারণ করতে পারে। আরব সাগরে ৮ জুন থেকে ১০ জুনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’ উৎপত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ৫ থেকে ৭ জুনের মধ্যে একটি নিম্নচাপে তৈরি হবে আরব সাগরে। যা কেরালা উপকূলবর্তী এলাকায় নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে পারে সেটি। পরবর্তীতে তা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলে তার নাম হবে ‘তেজ’। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। তারপর আরব সাগরের এই ঘূর্ণাবর্ত ধীরে ধীরে গভীর থেকে গভীরতম নিম্নচাপে পরিণত হবে। শুরু হবে প্রবল বৃষ্টিপাত।
খবরে বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণাবর্ত উত্তরদিকে অগ্রসর হতে পারে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমঘাটে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভাসতে পারে কেরালা। ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে বর্ষার পথে এই সাইক্লোন কোনোভাবে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি না, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা মেলেনি। ইতোমধ্যেই কেরালার আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। রোববার (৪ জুন) কেরালায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফরকাস্ট এবং গ্লোবাল ফরকাস্ট সিস্টেমের তরফে আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় উৎপন্ন হওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগের বিজ্ঞানী ডি. শিবানন্দ পাইও বিষয়টিতে সম্মতি জানিয়েছেন। এর প্রভাব বিধ্বংসী হতে পারে কি না, তা নিয়ে এখনও কোনো পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরের তীরবর্তী রাজ্যগুলোতে এই ঘূর্ণিঝড় তা-ব চালাতে পারে। সঠিক সময়ে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে আরব সাগরের পাড়ে। তা-ব চালাতে পারে ভারতের মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র প্রদেশ এবং কেরালাতে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২