অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানিয়েছে ইসরায়েল। আর এই সুযোগে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া খান ইউনিস নগরীতে ফিরে যেতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু কয়েকমাস ধরে ইসরায়েলের বোমা হামলার কারণে খান ইউনিস ও এর আশেপাশের এলাকায় এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। ফিলিস্তিনিরা চারিদিকে ধ্বংসস্তুপের মধ্যে তাদের বাড়িঘরও খুঁজে পাচ্ছে না। গত রোববার থেকেই খান ইউনিস থেকে সেনা সরাতে শুরু করে ইসরায়েল। খবর পেয়ে সেদিনই নগরীর নিজ বসতভিটায় ফিরতে শুরু করেন ফিলিস্তিনিরা। কিন্তু অনেকেই বলেছেন, তারা বাড়িঘর কিছু খুঁজে পাননি। গাজার যুদ্ধ শুরুর ছয়মাস পর দক্ষিণাঞ্চল থেকে একটি ব্রিগেড বাদে সব স্থল সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। তবে এই সেনা সরানোর মানেই যুদ্ধ শেষ হতে চলার লক্ষণ নয়।
বরং যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ের জন্য নতুন করে সংগঠিত হতে দক্ষিণ গাজায় সেনা সংখ্যা কমানো হয়েছে বলেই জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। তবে দক্ষিণ থেকে সেনা প্রত্যাহারের ফলে গাজার রাফাহ নগরীতে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বিলম্বিত হবে কি না তা স্পষ্ট জানা যায়নি। রাফাহে অভিযান চালানোর বিষয়ে ইসরায়েল এখনও বদ্ধপরিকর। তবে কবে নাগাদ এই অভিযান পরিচালনা করা হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে রাফাহ নগরীতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে আছে বহু ফিলিস্তিনি।
দক্ষিণের খান ইউনিস থেকে ইসরায়েলি সেনা চলে যাওয়ার কথা শুনে রাফাহে বাস করা এক ফিলিস্তিনি বিবিসি-কে বলেন, খান ইউনিসের আশ্রয় শিবিরে থাকা তার এক প্রতিবেশির বাড়ি ফেরার খবর পেয়ে তিনি আশান্বিত। খান ইউনিসে বাড়িঘরে ফিরতে থাকা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি সাংবাদিকরা। বিবিসি-আরবি সার্ভিস কে এমনই এক ফিলিস্তিনি হামেদ ইয়াসির পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, এলাকা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। তিনি জানান, ৭ মাস ধরে কাপড় পাল্টাতে পারেননি। কেবল পোশাক রাতে খুলে রেখে সকালে পরেছেন। এখানে জীবন বলতে কিছু নেই, বলেন ইয়াসির।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু