অনলাইন ডেস্ক :
শুরুর দিকের গোলে জয়ের পথেই ছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দারুণ এই ড্রয়ে স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার সঙ্গে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকেও বিপদের মুখে ঠেলে দিল তারা। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সোমবার ‘সি’ গ্রুপে দুই দলের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছে। এই ড্রয়ে নিশ্চিত হয়ে গেলে সাইফ স্পোর্টিংয়ের কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলাও। দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেরা আটে উঠেছে সাইফ স্পোর্টিং। দিনের অন্য ম্যাচে তাদের মুখোমুখি হবে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা মোহামেডান। তিন ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সেনাবাহিনী। সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে ২-১ গোলে হারের পর মোহামেডানের বিপক্ষে একই ব্যবধানে জিতেছিল সেনাবাহিনী। দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে আসবে হেড টু হেডের হিসাব। তাই সেনাবাহিনীকে পেছনে ফেলে সেরা আটে উঠতে হলে সাইফের বিপক্ষে জিততেই হবে মোহামেডানের। ঘূর্ণিঝড় জোয়াদের প্রভাবে দুদিন ধরে বৃষ্টি ঝরছে। টার্ফে বৃষ্টির প্রভাব তেমন একটা না পড়লেও মুক্তিযোদ্ধা ও সেনাবাহিনীর মধ্যে কেউই মেলে ধরতে পারেনি স্বাভাবিক খেলা। এর মধ্যে শুরুতেই চোট পেয়ে অধিনায়ক মোহাম্মদ শাহিন মাঠ ছাড়লে দুঃশ্চিন্তা বাড়ে সেনাবাহিনীর। অষ্টম মিনিটে ‘অপেশাদার দল’ সেনাবাহিনী হজম করে বসে গোল। দিদারুল ইসলামের ফ্রি কিক তারেক মিয়া হেড দিয়ে বল সামনে বাড়ান; ছোট বক্সের ভেতরে ফাঁকায় থাকা ইউনুসা কামারার শট ক্রসবারে লেগে ফেরার পর সামনে থাকা মিশরের ফরোয়ার্ড আইমান আহমেদের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। ৩৩তম মিনিটে দিদারুলের ফ্রি কিক প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার হেড করার পর বক্সের বাইরে বল বুক দিয়ে নামিয়ে জাপানি ফরোয়ার্ড তেতসুয়াকি মিসুয়ার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট ক্রসবার কাঁপিয়ে ফিরে আসে। মারুফের ফিরতি শট সরাসরি গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমে গেলে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ নষ্ট হয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের। দ্বিতীয়ার্ধে রঞ্জু শিকদারের দুটি কোনাকুটি শট ফেরান মুক্তিযোদ্ধা গোলরক্ষক। ৬৬তম মিনিটে দলটির ফরোয়ার্ড ইমতিয়াজ রায়হান বক্সের ভেতর থেকে গোলরক্ষক বরাবর জোরালো শট নেন। ৭৪তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা জাপানি মিডফিল্ডার সোমা ওতানজকে পেছন থেকে মাহবুব আলম ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। কিন্তু উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন হারান মিসুয়া। ৭৮তম মিনিটে ইমতিয়াজকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করে বসে গোলরক্ষক মোহাম্মদ রাজীব; পেনাল্টি পায় সেনাবাহিনী। মেহেদি হাসান মিঠুর শট নিজের বাঁ দিক ঝাঁপিয়ে গ্লাভসের টোকায় ফিরিয়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন গোলরক্ষক। নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে সমতায় ফিরে সেনাবাহিনী। রঞ্জুর ফ্রি কিকে সামিউল হক হেডে খুঁজে নেন জাল। এ গোলই শেষ পর্যন্ত গ্রুপ পর্ব থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিদায় নিশ্চিত করে দেয়। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে মাহবুব আলম দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় সেনাবাহিনী। তবে বাকিটা সময় নির্বিঘেœ পার করে দিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেই মাঠ ছাড়ে দলটি।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা