নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিপিএল আয়োজনে তোড়জোর শুরু হয়েছে আর দুর্ভাবনার নতুন উপলক্ষও জন্ম নিয়েছে। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশে এখনও এর তেমন কোনো প্রভাব না পড়ায় বিসিবি শঙ্কিত নয় এখনই। তবে প্রয়োজন পড়লে অবস্থা বুঝেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি। কোভিড পরিস্থিতির কারণেই গত বছর বিপিএল আয়োজন করতে পারেনি বিসিবি। বিকল্প হিসেবে শুধুমাত্র দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগ নামে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল। কোভিড পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হওয়ায় এবার বিপিএল আয়োজনে জোগাড়যন্ত্র এগিয়ে নিচ্ছে বিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সত্ত্বাধিকারীর খোঁজে ‘এক্সপ্রেশন্স অব ইন্টারেস্ট’ চাওয়া হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগেই, যেটির শেষ দিন আগামী রোববার। এ ছাড়া টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য সময়, ভেন্যু, দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট আরও অনেক কিছুর খসড়া দাঁড় করানো হয়েছে। কিন্তু এই আয়োজনে আততায়ী হয়ে উঠতে পারে ওমিক্রন। বিশেষ করে বিদেশি ক্রিকেটারদের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় প্রভাব রাখতে পারে এটি, যদি পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, সময় হলে সরকারের নির্দেশনা মেনেই তারা পদক্ষেপ নেবেন। “আমরা এখনও পর্যন্ত ঠিক করে রেখেছি, ২০ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যে স্লট রাখা আছে, এর মধ্যেই বিপিএলটাকে শেষ করব।” “আমাদের দেশে সবকিছু এখনও স্বাভাবিকভাবেই চলছে। ওটার (ওমিক্রন) প্রভাব সেভাবে পড়েনি। যদি পরে সরকারের কোনো নির্দেশনা আসে বা বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে কিংবা ভ্রমণের জটিলতা হয়, তাহলে এখন যেভাবে চিন্তা করছি, তখন কিছুটা ফাইন টিউনিং করতে হবে।” এবার ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে বিপিএল আয়োজন করা হতে পারে। আগের মতোই সম্ভাব্য ভেন্যু হতে পারে মিরপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা