নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিপুল অংকের টাকা বকেয়া পড়েছে। দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়েও বেবিচক ওই টাকা আদায করতে পারছে না। মূলত ল্যান্ডিং, পার্কিং, নেভিগেশনসহ বিভিন্ন বিল বাবদ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। বিগত সময়ে দফায় দফায় চিঠি দিয়েও পাওনা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে বেবিচক। এবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বিমানের বকেয়ার ৩ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা মওকুফ করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেবিচককে নির্দেশ দিয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে বিমানের দেনার পরিমাণ ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। তার মধ্যে মূল বিল ৯৫৩ কোটি ৪৩ লাখ, ভ্যাট ও ট্যাক্স ৩৪২ কোটি ১৭ লাখ এবং সারচার্জ ৩ হাজার ৪৪৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দাবি করা পুঞ্জীভূত ওই বকেয়ার ওপর সারচার্জ (প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে) মওকুফ করার বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিমানের কাছে আরোপিত সারচার্জ ৩ হাজার ৪৪৯ কোটি ১৪ লাখ টাকাসহ পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে সারচার্জ মওকুফের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তার আগে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গত ১৫ সেপ্টেম্বর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে বলা হয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দাখিল করা সব ধরনের ল্যান্ডিং, পার্কিং, নেভিগেশন বিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড ২০১৯ সাল থেকে নিয়মিত পরিশোধ করে যাচ্ছে। তাছাড়া যাত্রী টিকিটের সঙ্গে সংগৃহীত আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ এম্বারকেশন ফি, বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি ও যাত্রীনিরাপত্তা ফি নিয়মিত বেবিচককে পরিশোধ করে আসছে। তার আগে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন ও সিভিল এভিয়েশনের দেনা-পাওনার হিসাবে সিএএবি আরোপিত সারচার্জ ১ হাজার ২১৬ কোটি টাকা ২০১৮ সালের ৩ আগস্ট মওকুফ করা হয় এবং মূল বিল বাবদ পাওনা অর্থ ৫৭৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা সরকারের ইকুইটিতে স্থানান্তর করে বেবিচকের পাওনা সমন্বয় করা হয়।
সূত্র জানায়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। বিমান দেশের জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে ব্যবসা পরিচালনা করে। এ অবস্থায় বেবিচক কর্তৃক দাবী করা পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর সারচার্জ (প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে) মওকুফ করে করোনাজনিত ক্ষতি কাটিয়ে জাতীয় পতাকাবাহী বিমানকে আর্থিক কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা আনয়নের বিষয়ে সহযোগিতা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম