November 14, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, August 26th, 2021, 8:24 pm

বিপৎসীমার উপরে যমুনার পানি

ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৬ আগষ্ট) বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের পানি পরিমাপক আবদুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারও মানুষ। তলিয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও গো-চারণ ভূমি। পানিতে গো-চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অনেকেই বসতবাড়ি রেখে বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
টাঙ্গাইল: উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণের ফলে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর পানি ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বৃহস্পতিবার (২৬ আগষ্ট) যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে অভ্যন্তরীণ ধলেশ্বরী, লৌহজং, বংশাই ও ঝিনাই নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিষয়টি টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, দুই দিন স্থিতিশীল থাকার পর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের ফলে এ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে যমুনা নদীর চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল অভ্যন্তরীণ নদী তীরবর্তী এলকার ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। শত শত পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। যমুনা ছাড়াও ধলেশ্বরী নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ও ঝিনাই নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, পানি বৃদ্ধি পেলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে পানি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি বিভাগ। কালিহাতীর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, ভৈরববাড়ী গ্রামের প্রায় দেড়শ পরিবার গত এক মাসে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়। এখনও মাঝে মাঝে ভাঙছে। নতুন করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই পানি প্রবেশ করেছে। শত শত পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আহসানুল বাসার জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হেক্টর আমন বন্যায় তলিয়ে গেছে। এখনও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। যার কারণে পানি বন্দি এসব মানুষের ভোগান্তি বাড়ছেই।