May 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, March 17th, 2024, 7:58 pm

বিবাদ ভুলে সমঝোতায় অপূর্ব-শাকিল

অনলাইন ডেস্ক :

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আইয়ের সঙ্গে অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বের বিবাদের সমাধান করেছে প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) ও অভিনয় শিল্পী সংঘ। অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীসহ মোট ছয়জনের স্বাক্ষরসহ একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয় গত শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, শাকিল-অপূর্বর সুরাহার বিষয়টি। মধ্যরাতে সে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল। গত শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত উভয় পক্ষকে নিয়ে সভার পর বিষয়টির সমাধান করেন সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আলফা আইয়ের কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিল, টেলিপ্যাব সভাপতি মনোয়ার পাঠান, সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির, শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান।

এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওসের মধ্যকার সংঘটিত কাজের চুক্তিবিষয়ক যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তাতে উভয় পক্ষই প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) ও অভিনয় শিল্পী সংঘের কাছে অভিযোগ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ মার্চ ২০২৪ তারিখে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে একটি সভা হয়। সে সভায় সবার কাছে এটাই প্রতীয়মান হয় যে চুক্তি মোতাবেক উভয় পক্ষই পরিপূর্ণভাবে কার্য সম্পাদন করেনি।

চুক্তি অনুযায়ী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ৯টি নাটকে অভিনয় করেছেন এবং বাকি নাটকগুলো উভয় পক্ষই আর না করার বিষয়ে একমত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে অপূর্বকে প্রদান করা বাকি যে নাটক বাবদ অগ্রিম অর্থ, তা উভয় পক্ষ সমন্বয় করে নেবে। সেখানে আরও বলা হয়, উদ্ভূত ঘটনা কোনোভাবেই অর্থ আত্মসাৎ নয়, এটা চুক্তিবিষয়ক জটিলতা। পুরো বিষয়টি পারস্পরিক যোগাযোগ ও সমন্বয়হীনতার কারণে ঘটেছে। প্রসঙ্গত, দুই বছর আগে ২৪টি নাটকের জন্য অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব চুক্তিবদ্ধ হন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেডের সঙ্গে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিল।

চুক্তিমতো প্রতি মাসে তিন দিন সময় দিয়ে নাটকগুলোর শুটিং শেষ করে দেওয়ার কথা অপূর্বর। গত বছর অক্টোবরে নাটকগুলোর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এমন শর্তে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি ২৫ লাখ টাকা অগ্রিম দেয় অপূর্বকে। ৯টি নাটকের শুটিংও হয়। পরে শুটিং না করায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি অপূর্বর বিরুদ্ধে শিডিউল ফাঁসানো ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে অপূর্বকে আইনি নোটিশ দেয়। এ ঘটনায় বিব্রত হন অভিনেতা অপূর্ব।