November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, December 2nd, 2022, 8:58 pm

বিমানবন্দর সড়কের বিকল্প পথ ওই সড়কেরই মধ্যের তিন লেন

ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর অংশে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে। এজন্য বিমানবন্দর সড়কে গাজীপুর থেকে ঢাকাগামী অংশে বামপাশ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিজিজিসি কর্তৃপক্ষ। তবে বিকল্প পথ হিসেবে এই সড়কের মধ্যের তিনটি লেন চালু রাখা হয়েছে। এই তিনটি লেন দিয়ে যানবাহনের চলাচল করছে। তবে এতে চালক ও যাত্রীদের সাময়িক বেগ পেতে হচ্ছে। তবে বিমানবন্দর অতিক্রম করার পর আর যানজট পোহাতে হচ্ছে না। শুক্রবার (২রা ডিসেম্বর) দেখা যায়, রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের প্রায় ৫০০ মিটার জুড়ে নির্মাণ কাজ চলছে। এজন্য ব্যস্ততম এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাতায়াতে কোনো বিঘœ না ঘটে তাই বেরিকেট দিয়ে সড়কের মধ্যের তিনটি লেন বিকল্প পথ হিসেবে চালু রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিজিজিসির প্রকল্প ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। এজন্য সড়কের কিছু অংশ সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। আশা করছি শনিবার রাত ১২ টার পর থেকে সড়কটি পুনরায় খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, বিকল্প পথ হিসেবে এ সড়কের মধ্যের তিনটি লেন চালু রয়েছে। এর আগে বিমানবন্দর সড়কের মধ্যের অংশ বন্ধ রেখে উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়। সেই অংশ দিয়েই এখন যানবাহন চলাচল করছে। গাজীপুর থেকে ঢাকাগামী সড়কে যানবাহনের প্রচ- চাপ থাকতে দেখা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের দায়িত্বরত সদস্যরাও সড়কের যানবাহনের চাপ কমাতে কাজ করছেন। সঙ্গে বিআরটি প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও সড়কের যানবাহন নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন লাখো মানুষের চলাচলে ব্যবহৃত প্রচ- ব্যস্ততম এ সড়কের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ছুটির দিন বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ ছুটির দিনে যানবাহনের চাপ অনেকটাই কম থাকে। তবে বছরের পর বছর ধরেই বিমানবন্দর সড়কে চলমান রয়েছে সরকারের উন্নয়নমূলক বিআরটি প্রকল্পের কাজ। আর এ নির্মাণ কাজের কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এই সড়ক ব্যবহারকারীরা। এ দিকে উন্নয়নমূলক কাজের কারণে প্রায় সময় সড়কের কোন না কোনো পাশ বন্ধ থাকছেই। তবে বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এ সড়কটিতে চলাচলে যানজট বা ভোগান্তি থাকবে না বলে মনে করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এর আগে, গত বুধবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিআরটি প্রকল্পের আওতায় ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশনের সামনের সড়কে উন্নয়ন কাজের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনায় বলা হয়- উন্নয়ন কাজ নির্বিঘœ করতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর সংলগ্ন অংশ আগামী তিন দিন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। গত বৃহস্পতবিার রাত ৮টা থেকে শনিবাররাত ১২টা পর্যন্ত অতি প্রয়োজন ছাড়া সড়কের ওই অংশ দিয়ে যাতায়াত না করতে লোকজনকে অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগে, একই কারণে ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২৭ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত সড়কটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ ছিল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, বিআরটি প্রকল্পটি ২০১২ সালে সরকারের অনুমোদন পায়। নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। গত আগস্ট পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৮১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। নির্মাণ কাজের কারণে চার বছর চরম দুর্ভোগ চলছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা থেকে জয়দেবপুর অংশে। এই পরিস্থিতিতে কাজ বাকি রেখেই উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ফ্লাইওভারের একাংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। একই সঙ্গে, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকা পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে।