রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলী ইউনিয়নের ভারত সীমান্ত এলাকায় ত্রিপুরা পাড়ায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে তিন গ্রামবাসী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই হামলায় আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। এসময় অন্য চারজন পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নে সাইজাম নতুন পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- বৃষচন্দ্র ত্রিপুরা, সুভাষ ত্রিপুরা এবং ধনরা ত্রিপুরা। এদের মধ্যে সুভাষ এবং ধনরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আতুমং মারমা।
এদিকে ‘কুকিচীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’ নামের সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পেজে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে।
হতাহতের ব্যাপারে ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ইউনিয়নের সভাপতি আতুমং মারমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। একই দাবি করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার ওয়েইবার ত্রিপুরা।
তবে হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আতুমং মারমার বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ‘কুকিচীন পার্টি’ নামের একটি নতুন সশস্ত্র সংগঠনের কর্মীরা বড়থলি ইউনিয়নের সাইজান নতুন পাড়ায় এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তবে ঘটনার ২২ ঘণ্টা পরও বুধবার (২২ জুন) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ ঘটনাস্থলে যাননি।’ ঠিক কী কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, বড়থলির ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি বিলাইছড়ি থানাকে জানিয়েছি। এলাকাটি এতই দুর্গম যে সেখানে বিলাইছড়ি থেকে তিনদিন, পার্শ্ববর্তী বান্দরবান রুমা উপজেলা থেকে যেতেও দুদিন সময় লাগে। পুরো বিষয়টি রুমা জোনকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাহমুদা বেগম বলেন, বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তবে দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে পৌঁছানো কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। তাই আমরা এখনও নিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি