প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’-এর রচয়িতা আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীকে শনিবার বিকালে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশিষ্ট এই বাংলাদেশি-ব্রিটিশ লেখক ও কলামিস্টের দাফন সম্পন্ন হয়।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত এসপি মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, সকাল ১১ টা ৫মিনিটে লন্ডন থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে গাফফার চৌধুরীর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে মরদেহ গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এরপর প্রথমে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। পরে দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর এই প্রখ্যাত সাংবাদিকের মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে (জেপিসি) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শেষ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের (জেপিসি) সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান ও যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম সাংবাদিকতাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে গাফ্ফার চৌধুরীর অবদানের কথা স্মরণ করেন।
নামাজে জানাজা শেষে জেপিসির ব্যবস্থাপনা কমিটি, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এবং ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) গাফফার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এছাড়াও প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক যুগান্তর ও দৈনিক সমকালের প্রতিনিধিরাও গাফ্ফার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি