November 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, October 17th, 2021, 7:17 pm

বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনিকে উড়িয়ে বিশাল জয় পেল ওমান

অনলাইন ডেস্ক :

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুটি দলই নতুন। কারোরই বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। বড় দলের বিপক্ষে তো নেইই। এমন দুই দলের খেলায় রোববার বিশাল জয় পেল ওমান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে পাপুয়া নিউগিনিকে। পাপুয়া নিউগিনির দেওয়া ১৩০ রানের টার্গেটে পৌঁছতে তাদের লেগেছে মাত্র ১৩.৪ ওভার। এই বিশাল জয়ে বাংলাদেশকেও একটা বার্তা দিয়ে রাখল ওমান। ১৯ অক্টোবর এই ওমানের বিপক্ষেই খেলতে হবে টাইগারদের। রান তাড়ায় নেমে পাপুয়া নিউগিনির সাদামাটা বোলিংকে পাত্তাই দিচ্ছিল না ওমানের দুই ওপেনার আকিব ইলিয়াস এবং যতীন্দর সিং। দুজনেই ধুন্দুমার ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ৩৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন যতীন্দর। আকিব একটু ধীরগতির ব্যাট চালিয়ে ৪৩ বলে ফিফটি পূরণ করেন। তাদের ব্যাটে মাত্র ১৩.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ওমান। ৪৩ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৫০* রানে অপরাজিত আকিব ইলিয়াস। আর যতীন্দর ৪২ বলে ৭৩* রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার এবং ৪টি ছক্কা। এর আগে রোববার মাসকটের আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৯ রান করে পাপুয়া নিউগিনি। ব্যাটিংয়ে নেমে পাপুয়া নিউগিনি শুরুতেই ধাক্কা খায়। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে বোল্ড হয়ে যান টনি উরা (০)। পরের ওভারে বোল্ড হন আরেক ওপেনার লেগা সিয়াকা (০)। তখনও স্কোরবোর্ডে কোনো রান নেই। এরপর অবশ্য ৮১ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন অধিনায়ক আসাদ ভালা (৫৬) এবং চার্লস আমিনি (৩৭)। ৪৩ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ওভার বাউন্ডারিতে ৫৬ রানের ইনিংস খেলা আসাদ ভালা ৪০ বলে ফিফটি পূরণ করেন। আরেক ব্যাটসম্যান আমিনি ৩৭ রান করেন ২৬ বলে ৪ বাউন্ডারি আর এক ওভার বাউন্ডারিতে। পাঁচে নামা সিসি বাউ করেন ১৩ রান। এ ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। শেষের দিকে পাপুয়া নিউগিনির উইকেট পতন হয়েছে দ্রুত। ১৬তম ওভারে তিন উইকেটের পতন ঘটালেও হ্যাটট্রিক হয়নি জিসান মাসকুসদের। ৩৩ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার শিকার করেছেন ৪ উইকেট। ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২০ রান।