March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, December 7th, 2022, 8:36 pm

বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করার কথা কখনো চিন্তাও করেননি রামোস

অনলাইন ডেস্ক :

পর্তুগালের গনসালোা রামোসের কল্যাণে কাতার (৭ ডিসেম্বর) বিশ্বকাপ প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছে। নক আউট পর্বে সুইজারল্যান্ডের সাথে রামোসের হ্যাটট্রিকে পর্তুগাল ৬-১ গোলের দাপুটে জয় দিয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেছে। কিন্তু ২১ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার বিশ^কাপে হ্যাটট্রিকের কথা কখনো চিন্তাও করেননি। হঠাৎ করেই পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোকে সাইড লাইনে রেখে মূল দলে রামোসের অন্তর্ভূক্তি সবাইকে বিস্মিত করেছিল। কিন্তু কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তরুণ এই স্ট্রাইকার। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত রামোস বলেছেন, ‘আমি স্বপ্নেও কখনো ভাবিনি বিশ^কাপে নক আউট পর্বে আমার এমন একটি শুরু হবে এবং আমি তিন গোল করতে পারবো। কিন্তু আমাদের ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করতে হবে। এখন আমাদের শেষ আটে মরক্কোর ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। এই ফলাফল এখন আর কোন অর্থ বহন করে না। পরবর্তী ম্যাচই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। ’ পর্তুগালের হয়ে রোনাল্ডোর যখন অভিষেক হয়েছিল তখন রামোসের বয়স ছিল মাত্র দুই বছর। ৩৭ বছর বয়সী রোনাল্ডো সবসময়ই তার আইডল ছিল। লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেবার সময় যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ম্যাচের শুরুত সান্তোসের বিস্ময়কর দল নির্বাচনে ড্রেসিং রুমের পরিস্থিতি কেমন ছিল সেই প্রশ্নের উত্তরে রামোস বলেছেন, ‘সত্যি বলতে কি কেউ এ বিষয়ে কথা বলেনি। অধিনায়ক হিসেবে রোনাল্ডোর যা করার দরকার সে করেছে, সে সকলের সাথে কথা বলেছে, সবাইকে সহযোগিতা করেছে। শুধুমাত্র আমাকে নয়, প্রত্যেকের সাথেই সে কথা বলেছে। রোনাল্ডো সবসময়ই আমাদের রোল মডেল, আমি একইসাথে রবার্ট লিওয়ানদোস্কি, জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচকেও পছন্দ করি। ’ এনিয়ে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন রামোস। গ্রুপ পর্বে তিনি দুই ম্যাচে মাত্র ১০ মিনিট মাঠে ছিলেন। গত ১৭ নভেম্বর বিশ^কাপের প্রস্তুতি ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে তার অভিষেক হয়। বদলী হিসেবে ৬৭ মিনিটে তিনি মাঠে নামেন। এর ১৫ মিনিট পরেই গোল পান। ম্যাচটিতে পর্তুগাল ৪-০ গোলে জয়ী হয়েছিল। ডারউইন নুনেজের লিভারপুলে চলে যাবার পর সেন্ট্রাল স্ট্রাইকার হিসেবে পর্তুগাল থেকে এবারের মৌসুমে বেনফিকায় রামোস দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। সব মিলিয়ে তিনি বেনফিকার হয়ে ২১ ম্যাচে ১৪ গোল করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে রামোস বলেছেন, ‘আমার ফেবারিট পজিশন হচ্ছে ফরোয়ার্ড। কিন্তু গত বছর আমি ডারইউনের সহযোগী হিসেবে খেলেছি। এটা স্পষ্ট যে তার চলে যাওয়ায় আমার জন্য পথ খুলে গেছে। এখন আমি নিজের মত করে খেলতে পারছি, নিজেকে আরো পরিনত করে তুলেছি। ’ মরক্কোর বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে রামোস যদি ধারাবাাহিকতা ধরে রাখতে পারে তবে এটা অন্তত নিশ্চিত যে নুনেজের মতই বড় অঙ্কের বিনিময়ে তিনি পরের মৌসুমেই শীর্ষ কোন দলে পাড়ি জমাবেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তার একটাই চিন্তা কিভাবে সান্তোস ও পুরো পর্তুগাল দলকে সন্তুষ্ট করবেন।