অনলাইন ডেস্ক :
‘ফল যখন হবে, তখন এমনিই বোঝা যাবে’- একটু জোর দিয়েই বললেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার বড় প্রত্যাশা করা যাবে কি না, জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে। প্রসঙ্গটি যেন ঠিক পছন্দ হলো না তার। এই বিষয়ে তাই মাতামাতি না করার অনুরোধই রাখলেন তিনি। আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। বরাবরের মতো এবারও যে দলের ওপর সবার প্রত্যাশা থাকবে উঁচুতে, সেটি ভালোভাবেই জানা শান্তর। তবে এসব নিয়ে ভাবতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাঠের খেলায় ফল নিজেদের পক্ষে আনার চিন্তা তার।
মঙ্গলবার এক্স সিরামিকসের চিফ ব্র্যান্ড অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আয়োজনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন শান্ত। বিশ্বকাপ ঘিরে সবার উচ্চাশা বা প্রত্যাশা নিজেদের মনের ভেতরেই রাখার অনুরোধ করেন তিনি। “প্রতি বছরই আমি দেখি, বিশ্বকাপের আগে এসব নিয়ে অনেক কথা হয়। প্রত্যাশা… এটা করব, সেটা করব। আমার একটা অনুরোধ থাকবে আপনাদের কাছে, প্রত্যাশা খুব একটা করার দরকার নেই। প্রত্যাশাটা সবার মনের ভেতরেই থাক।” “আপনারাও জানেন, বাংলাদেশ দল কী চায়। আমরা ক্রিকেটাররাও জানি, আমরা দলকে কতদূর নিয়ে যেতে চাই।
সবাই চায় যে, আমরা অনেক বড় কিছু করি। এটা নিয়ে যখন অনেক বেশি মাতামাতি হয়, তখন আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে না। আসলে দরকার নেই। ফল যখন হবে, তখন এমনিই বোঝা যাবে।” প্রত্যাশা বা চাওয়া-পাওয়ার আলোচনায় যেতে আগ্রহী না হলেও, দর্শক-সমর্থকদের একটি নিশ্চয়তা অবশ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার বিশ্বাস, বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে শতভাগের চেয়েও বেশি দিয়ে খেলবে তার দল। “আমি একটা জিনিস বলতে পারি, এই দলটা যে খেলবে, এরা প্রত্যেকটা ম্যাচে জেতার জন্য ১২০ শতাংশ দেবে। এই নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি এবং প্রত্যেকটা ম্যাচ জেতার জন্যই খেলবে। প্রতি বছর আমরা যখন খেলি, প্রত্যেকটা ম্যাচ অনেক আশা নিয়েই খেলি। আমরা যেটা পারি, সে জিনিসটা করারই চেষ্টা করব। তবে আগে থেকেই অনেক আশা করছি, এবার অনেক বেশি প্রত্যাশা করছি… একটাই অনুরোধ করব, আমরা যেন এসব নিয়ে বেশি মাতামাতি না করি।”
বিশ্বকাপের বছরে গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। সিলেটে তুলনামূলক ভালো উইকেটে ২-১ ব্যবধানে সিরিজটি হেরেছে স্বাগতিকরা। বৈশ্বিক আসর শুরুর আর দুটি সিরিজ খেলবে শান্তর দল। ঘরের মাঠে আগামী ৩ মে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে ওই সিরিজেও ভালো উইকেটের প্রত্যাশা বাংলাদেশ অধিনায়কের। “আমরা যদি সবশেষ ৬-৭টা সিরিজ দেখি, এই দলটা বেশিরভাগ সিরিজ জিতেছে। দলটা ভালো অবস্থায় আছে। (জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে) অবশ্যই ভালো উইকেটে খেলার ইচ্ছে আছে।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমরা যে সিরিজটা খেললাম, এই একই ধরনের উইকেট প্রত্যাশা করছি।” “চেষ্টা করব, যুক্তরাষ্ট্রে আমরা যে ধরনের উইকেটে খেলব, সেই ধরনের উইকেটে খেলা যায় কি না। আমার মনে হয় না, খুব একটা সহজ হবে। তবে ভালো উইকেটই প্রত্যাশা করছি। আর এই সিরিজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজটা যদি আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারি, আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারি তাহলে দলের জন্য অনেক ভালো কিছু হবে।” জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষ হবে ১২ মে। এরপর ২১ মে থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ৮ জুন।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা