April 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, November 3rd, 2021, 1:02 pm

বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: পি আই ডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি মোকাবিলা করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘উচ্চাভিলাষী প্রভাব প্রশমন প্রচেষ্টা ছাড়া শুধুমাত্র অভিযোজন ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবগুলোকে ধীর, থামনো এবং পাল্টানোর জন্য যথেষ্ট নয়।’

মঙ্গলবার স্কটিশ পার্লামেন্টে ‘কল ফর ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে স্কটিশ পার্লামেন্টে পৌঁছলে স্পিকার অ্যালিসন জনস্টোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাগত জানান। এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এবং সিভিএফ দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ওপর বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘এই পরিমাণ অর্থায়ন হবে বিদ্যমান ওডিএ (অফিশিয়াল উন্নয়ন সহায়তা) এর অতিরিক্ত এবং বিভিন্ন জলবায়ু তহবিলের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার। জলবায়ু তহবিলের বিতরণে অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ অনুপাত থাকা উচিত।’

প্রধানমন্ত্রী সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে সবুজ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেয়ার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, গ্লাসগোতে বিশ্ব নেতারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবের অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকি মোকাবিলায় সাড়া দেয়ার জন্য তাদের বৈশ্বিক সম্মিলিত প্রচেষ্টার সমন্বয়ে জলবায়ু কর্মের বিষয়ে সংকল্প ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রদর্শন করতে সমবেত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কোনো দেশই মুক্ত নয়।

শেখ হাসিনা সম্প্রতি প্রকাশিত আইপিসিসি (জলবায়ু সংক্রান্ত আন্ত:সরকার প্যানেল) ৬ মূল্যায়ন প্রতিবেদনটিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু বিপর্যয় থেকে পৃথিবকেকে বাঁচাতে এখনই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বিশ্বের জন্য আরেকটি জাগরণের আহ্বান হিসাবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আমরা মানবজাতির সবচেয়ে গুরুতর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এটি বাংলাদেশের মতো জলবায়ু- ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির জন্য একটি বড় হুমকি। যদিও আমরা বিশ্বব্যাপী নির্গমনের ০.৪৭ শতাংশেরও কম অবদান রাখি।’

—ইউএনবি