November 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, January 5th, 2022, 7:45 pm

বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

ফাইল ছবি

বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর নিয়োগের জন্য পিএসসি’র সুপারিশপ্রাপ্ত বিভিন্ন ক্যাডারের ৮৪ জনকে কোন সুনির্দিষ্ট মামলা না থাকলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনপ্রশাসন সচিবকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। পৃথক চারটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এই ৮৪ জনের মধ্যে ৩৬তম থেকে বিসিএস-এ সুপারিশপাপ্ত ১০ জন, ৩৭তম থেকে ৩৮ জন ও ৩৯তম বিসিএস’এ ৩৬ জন সুপারিশপ্রাপ্ত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

রায়ের পর রিটকারীদের আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, ৩৬, ৩৭ ও ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষার সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) তাদের নিয়োগের সুপারিশ করে। কিন্তু কোন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই এসব চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ জন্য এই ৮৪ জন প্রার্থী ২০২০ সালে হাইকোর্টে পৃথক চারটি রিট করে। প্রথমে হাইকোর্ট এসব রিটের শুনানি করে রুল জারি করেন। রুলে তাদের নাম নিয়োগের জন্য জারিকৃত গেজেটে অন্তর্ভূক্ত না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের কেন নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরে রুলের ওপর শুনানিকালে সরকারপক্ষ বাদপড়ার কারণ হিসেবে তারা আনফিট বলে উল্লেখ করেন। পরে হাইকোর্ট তাদের নিয়োগের নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, যথারীতি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ দুই হাজার ৩২৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর ওই সুপারিশ করা হয়। পরে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই দুই হাজার ২০২ জনকে নিয়োগের গেজেট প্রকাশ করা হয়। বাদ পড়ে ১২১ জন। এর মধ্যে এর আগেও অনেকে রিট করে ও বিভিন্ন ভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। সর্বশেষ ১০ জন ২০২০ সালে হাইকোর্টে রিট করেন।

৩৭তম বিসিএসে এ বিভিন্ন ক্যাডারে ২০১৮ সালের ১২ জুন মোট এক হাজার ৩১৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পরবর্তী সময়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ২০ মার্চ এবং পরে বিভিন্ন তারিখে সর্বমোট এক হাজার ২৪৮ জনকে নিয়োগ দেয়। কিন্তু সুপারিশকৃত এক হাজার ৩১৪ জনের মধ্যে ৩৮ জন রিটপিটিশনারসহ সর্বমোট ৬৬ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয়।

এরপর ৩৯তম বিসিএসে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল মোট চার হাজার ৭৯২ জনকে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে সুপারিশ করে পরবর্তী সময়ে সুপারিশকৃতদের মধ্যে থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর এবং পরবর্তী বিভিন্ন তারিখে চার হাজার ৭২০ জনকে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দেয়। কিন্তু ৩৬ জন রিটকারীসহ সর্বমোট ৭২ জন নিয়োগ বঞ্চিত হয়।

বারবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেও তাদের নিয়োগ না দেয়ায় তারা হাইকোর্টে রিট করেন।

—ইউএনবি