অনলাইন ডেস্ক :
মাশরাফি বিন মুর্তজার অঘোষিত বিদায়ের মধ্য দিয়েই পঞ্চপান্ডব তত্ত্ব হারিয়ে গেছে। টিকে থাকা চার সিনিয়রও বিভিন্ন ফরম্যাটে সময়ের সঙ্গে অনিয়মিত হয়েছেন। তবে সিনিয়রদের আঁকড়ে ধরেই টি-২০ তে পথ চলছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু তাদের উপস্হিতি, অভিজ্ঞতা এ ফরম্যাটে টাইগারদের রুগ্ণ পারফরম্যান্সকে বদলাতে পারেনি। মোট ১২৮ ম্যাচে মাত্র ৪৪টি জয় বাংলাদেশের। গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপের পর সাত ম্যাচে মাত্র একটি জয়। এবার তাই তিন মাস দূরের বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে পরিকল্পনার টেবিলে ভয়-ডরকে জয় করতে পেরেছে বিসিবি। জিম্বাবুয়ে সফরে তিন ম্যাচ সিরিজের জন্য একেবারে তারুণ্যনির্ভর একটা দলই ঘোষণা করেছে বিসিবি। যেখানে নেই কোনো সিনিয়র ক্রিকেটার। সম্প্রতি টি-২০ থেকে তামিম ইকবাল অবসর নিয়েছেন। সাকিব আল হাসান ছুটি নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে সফর থেকে। বাকি ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। দুই ভায়রা ভাইকে ছেঁটে ফেলেছে বিসিবি। একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারে ঠাসা টি-২০ দলের অধিনায়ক করা হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকে। অপেক্ষাকৃত দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই পরীক্ষানিরীক্ষার পদক্ষেপকে ইতিবাচক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘বিশ্রামের’ আড়ালে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিয়ে গড়া তরুণ দলকে স্বাগত জানিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরাও। বিকেএসপির উপদেষ্টা ও দেশের বিখ্যাত কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে এমন পরীক্ষায় কোনো ক্ষতি নেই। সিনিয়রদের ছাড়া তরুণ দল গড়ার প্রসঙ্গে রবিবার তিনি বলেছেন, ‘বোর্ড কি বলেছে, আমরা যদি সেদিকে তাকাই, সিনিয়রদেরকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে একটা সিরিজের জন্য। তারা নতুন মুখ পরখ করে দেখতে চাইছে। আর জিম্বাবুয়ে এমন এক প্রতিপক্ষ যাদের বিপক্ষে এটা কার্যকর হওয়ার কথা, তাদের সামর্থ্য বিবেচনায়। আমরা যদি কিছু নতুন খেলোয়াড় পরীক্ষা করে দেখি, এটা খুব ক্ষতিকর হবে না।’ এই ফরম্যাটে কিছু পরিবর্তন দরকার ছিল জানিয়ে ফাহিম বলেন, ‘কিছু পরিবর্তন দরকারও ছিল। আমি বলছি না খেলোয়াড়দের পরিবর্তন, আমি বলছি অ্যাপ্রোচের মধ্যে কিছু পরিবর্তন দরকার। আমার মনে হয় একটা সাহসী সিদ্ধান্ত বোর্ড নিয়েছে।’ দলে থাকতে হলে পারফরম্যান্সে উন্নতি দরকার, এই বার্তাও ক্রিকেটারদের কাছে পৌঁছে গেছে বলে মনে করেন ফাহিম। অভিজ্ঞ এ কোচ বলেন, ‘এটা আমার মনে হয় সবার জন্যই একটা বার্তা যে, আমাদের টি-২০ তে স্পেশালি আমরা যদি দলে জায়গা চাই, তাহলে আমাদের খেলাটাকে আরেকটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।’ এই পরিবর্তনটা আরও আগে করার সুযোগ ছিল বিসিবির সামনে। তারপরও শেষ পর্যন্ত বিসিবি এই পথে নেমেছে দেখে খুশি সাকিব-মুশফিকদের মেন্টর। তার মতে, আগে এই পদক্ষেপ নিলে এত দিনে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলটা চূড়ান্ত হয়ে যেত। তাতে ক্রিকেটাররাও বিভিন্ন সিরিজ খেলে নিজেদেরকে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্ত্তত করার সময়টা পেতেন।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা