জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
চলার পথে রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে এবং নির্দিষ্ট স্থানে বাসে ওঠা-নামা করতে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রায় ১৫টি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এসব ছাউনির কাছেও যায়না কেউ। অধিকাংশ যাত্রী ছাউনিতে কুকুর আর ভবঘুরেদের আস্থানা। ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা। বৃষ্টি হলে ছাউনি দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। ফলে যে উদ্দেশে যাত্রী ছাউনিগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল তার সুফল মিলছে না।
এই যাত্রী ছাউনিগুলোর সামনে নির্দিষ্ট স্থানে বাস থামার নির্দেশনা আছে। কিন্তু কোনো যাত্রী ছাউনিতেই বাস থামছে না। যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা করছে। ফলে সড়কে যানজট তৈরি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। চালকদের লাগামও কেউ টেনে ধরছে না।
বিয়ানীবাজারে বেশীরভাগ যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে সিলেট জেলা ও স্থানীয় উপজেলা পরিষদ। একসময় এসব ছাউনির প্রয়োজনীয়তা থাকলেও বর্তমানে তা গুরুত্বহীন। অনেক যাত্রী ছাউনি দখল করে ব্যবসা করছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
সরজমিন দেখা যায়, যাত্রী ছাউনির বদলে শতশত যাত্রী রাস্তায় বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন। বাস দেখামাত্রই দৌড় দিয়ে উঠে পড়েন। এছাড়া অনেক যাত্রী চলন্ত অবস্থায়ই গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য হন। এতে প্রতিনিয়ত সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। যাত্রী ছাউনির সামনে সব বাস থামাতে চালকদের বাধ্য করতে হবে। ভাঙা যাত্রী ছাউনিগুলো সংস্কার করতে হবে।
পৌর এলাকার খাসায় রোটারী ক্লাবের সহযোগীতায় নির্মিত যাত্রী ছাউনি উদ্বোধনের পর থেকে ধারেকাছেও যায়নি কেউ। চারখাই পয়েন্ট এবং দুবাগ সেতুর কাছে নির্মিত যাত্রী ছাউনিগুলো দখল হয়ে গেছে। কনকলস এলাকায় নির্মিত অপর যাত্রী ছাউনিও এলাকাবাসীর কাছে অপ্রয়োজনীয়। বারইগ্রাম বাজারের একমাত্র যাত্রী ছাউনিও বেদখল হয়ে গেছে। রাতের আধাঁরে অনেক যাত্রী ছাউনিতে মাদক সেবন করে বখাটেরা।
যাত্রী ছাউনিতে থাকা এক অবৈধ ব্যবসায়ী বলেন, গরীব মানুষ। বৃষ্টিতে না ভিজতে এবং রোদের কবল থেকে বাঁচতে সেখানে ব্যবসা করছেন।
সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক জয়নাল আবেদীন জানান, আসলে মানুষের সুবিধার কথা বিবেচনা করে অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় তা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। এখন থেকে সকল প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে নেয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হবে।
আরও পড়ুন
নাটোরে ট্রাক ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে একজন নিহত
সাভারে বুধবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
কুমিল্লায় বাসচাপায় ২ শিশুসহ নিহত ৪