জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
আকস্মিক বন্যার এমন ভয়াবহতা দেখেননি কেউ। অদম্য বানের জলে প্লাবিত হলো এখানকার প্রায় সব অঞ্চল। সেই জলে সিলেটের বিয়ানীবাজারের প্রায় দেড় হাজার মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে খামারের মাছ ভেসে যাওয়ার ক্ষতি যেমন আছে, তেমনি আছে অবকাঠামোগত ক্ষতিও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খামারিদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উপর মহলে অবহিত করা হয়েছে। যাতে তাদের জন্য কোনো প্রণোদনার ব্যবস্থা করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়।
সিলেট জেলা মৎস্য অফিস সূত্র বলছে, সিলেটে প্রায় ৫৩ হাজার পুকুর, খামার, হ্যাচারি ও দিঘীতে মাছ চাষ করা হয়। এতে ২ কোটি ১৩ লাখ মাছের পোনা এবং ২ হাজার ৩০৫ টন মাছ ভেসে গেছে।
সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বন্যায় ১৫ হাজার ১৬৩ জন মাছ চাষী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ২১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।’
মৎস্য অফিসের তথ্যানুসারে, এবার বন্যায় মৎস্যখাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বিশ্বনাথ, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলায়। বিয়ানীবাজারে ১ হাজার ৪০২টি খামার তলিয়ে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ মাছ চাষীরা বলছেন, বন্যায় তাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠতে সরকারের প্রণোদনা প্রয়োজন।
মাছ চাষি হাসান আহমদ বলেন, ‘বন্যায় মাছ চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন, তাদের অবস্থা বেশি খারাপ। ক্ষতিগ্রস্থদের প্রণোদনা দেওয়া প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্থদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন মহলকে জানানো হয়েছে। এখন প্রণোদনা দেওয়া হবে কিনা, কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি