April 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, May 19th, 2022, 8:26 pm

বিয়ানীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা

জেলা প্রতিনিধি, সিলেট:

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সুরমা ও কুশিয়ারায় পানিবৃদ্ধি থামছেই না। গতকালের চেয়ে আজ এ দুই নদীতে পানি বেড়েছে। পানি বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতিরও অবনতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ১৫০ হেক্টর জমির ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

কুশিয়ারা ও সুনাই নদীর পানি বেড়ে বারইগ্রাম-বিয়ানীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের উপরে দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে বুধবার সকাল থেকে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ফলে সড়কে তীব্র যানযট দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এই সড়কে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হবার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সময় সময় বিয়ানীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। উপজেলার আলীনগর, চারখাই, শেওলা, দুবাগ, কুড়ারবাজার, মুড়িয়া ও তিলপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার বারইগ্রাম-বিয়ানীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কাকরদিয়া, মেওয়া, জিরো পয়েন্ট, চারখাই গাছতলা, আলীনগর এলাকার বিভিন্ন স্থানের সড়ক বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।বিয়ানীবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহমেদ রাশেদুন নবী জানান, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এখানকার প্রায় ১৫০ হেক্টর ধান পানির নীচে তলিয়ে আছে।

সুরমা ও কুশিয়ারার একাধিক পয়েন্টে ডাইক ভেঙ্গে হু-হু করে পানি ঢুকছে। ফলে নিম্নঅঞ্চলের বহু বাড়ি ও এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে।এদিকে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কায় উপজেলায় ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আপাতত: দূর্গত লোকজন আশ্রয় নেয়ার সুযোগ পাবে।

এখানকার পৌর এলাকার নয়াগ্রাম-২ ও শ্রীধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলীনগরের উত্তরভাগ, সুরমা ও রামধা, চারখাইয়ের প্ইলগ্রাম, পাতন-১, হাজী ওয়াজিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুবাগের সিলেটিপাড়া-২ ও খাড়াভরা, শেওলার দিঘলবাক ও কোনা শালেস্বর, কুড়ারবাজারের খশির ও গড়রবন্দ, মাথিউরার দুধবকসি ও পশ্চিম মাথিউরা, তিলপাড়ার তিলপাড়া ও দাসউরা, মোল্লাপুরের মাটিকাটা ও মোল্লাপুর, মুড়িয়ার ঘুঙ্গাদিয়া ও বড়উধা, লাউতার কালাইউরা ও টিকরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।