জেলা প্রতিনিধি, সিলেট:
সিলেটের বিয়ানীবাজারে চলতি বোরো মৌসুমে ৬ হাজার ১ শ’ ২০ হেক্টোর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় কৃষকদের পরিচর্যায় মাঠের ধান পেকে গেছে। সোনালী বর্ণে আর শীষে ধানগুলো কৃষকের উঠোনে যাবার অপেক্ষায়। কিন্তু শ্রমিক সংকটসহ নানা কারণে অধিকাংশ মাঠের ধান জমিতে পড়ে আছে।
এরই মধ্যে ঘুর্ণিঝড় আসানির খবরে মহা বিপাকে কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন, ধান মাঠে পড়ে থাকলেও তেমন ক্ষতি হবে না। শুধু আকাশটা খোলসা (পরিষ্কার) পাওয়া দরকার।শনিবার (৭ মে) সকালে বিস্তৃর্ণ মাঠে গিয়ে দেখা যায় ধান কাটার কাজে তেমন শ্রমিক নেই। প্রান্তিক চাষী ও বর্গা চাষীরা নিজের ধান কাটায় ব্যস্ত।
এ সময় কথা হয় কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে। এর মধ্যে একজন জনপ্রতিনিধিও রয়েছেন। হতাশকণ্ঠে কৃষক বজলুর রহমান বলেন, সাড়ে তিন বিঘা আমি ধান করেছি। ঈদের দিন ঝড়-বৃষ্টির কারণে জমিতে ধান পড়ে আছে। আবার নাকি ঘূর্ণঝড় হানা দেবে। আমার মতো ক্ষুদ্র চাষিদের আল্লাহ ভরসা।
ধান কাটতে আসা আব্দুল লতিফ জানান, শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে এসেছি। এ ছাড়া কিছু করার নেই। বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিবার শ্রমিকরা আসে। এবার এখনো আসিনি।
কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, মাঠে ১২ বিঘা ধান আছে। খুব টেনশনে আছি। আমার একার পক্ষে সব ধান কাটা সম্ভব না।
কৃষক হারুণ জানান, হাতে কাচি নিয়ে ঘুরেঘুরে বেড়াচ্ছি। এই অবস্থায় ঝড়ের কথা শুনে আরো মনটা ভেঙ্গে যাচ্ছে। কখন কি যে হয় সেই চিন্তায় কিছু ভালো লাগছেনা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, গত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলায় ৪ হাজার ৮শ’ ১০ হেক্টোর জমির ধান কাটা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহমেদ রাশেদুন নবী জানান, শনিবার পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার হেক্টোর ধান এখনো মাঠে। তিনি বলেন ঘূর্ণীঝড় আসানির সতর্কতা উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আমরা কৃষকদের জানিয়ে দিয়েছি। যাতে কৃষকরা দ্রুত ধান কাটতে পারেন।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি