অনলাইন ডেস্ক :
বিয়ের পাঁচ বছর হলিউড তারকা জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড এখন পরস্পরের মুখোমুখি আদালতে। সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন ডেপ। জনি ডেপের করা মানহানির মামলায় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টি আদালতে প্রথমবারের মতো সাক্ষ্য দেন ‘অ্যাকুয়াম্যান’ এর অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। ৩৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী জানান, বিয়ের পর থেকেই তাকে শারীরিক নির্যাতন করেছেন জনি ডেপ। নির্যাতনের শুরুটা চড় দিয়ে শুরু হয়েছিল। জনি ডেপ প্রথমবার তাকে শারীরিক আঘাত করেন, যেদিন তিনি তার শরীরে আঁকা একটি ট্যাটু নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন।
তিনি জানতে চেয়েছিলেন, মলিন হয়ে যাওয়া ওই ট্যাটুতে কী লেখা আছে। উত্তরে ডেপ বলেছিলেন- ‘উইনো’। উত্তর শুনে হেসে ফেলেছিলেন হার্ড, ভেবেছিলেন এটা হয়ত কোনো কৌতুক। ‘এরপরই সে আমার গালে চড় মারল। আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না হঠাৎ কী ঘটে গেল। আমি শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম।’ হার্ড তার সাক্ষ্যে আরও বলেন, এরপর তাকে আরও দুবার চড় মারেন ডেপ; বলেন, ‘তোর কাছে এটা হাসির কথা মনে হল?’ ২০১১ সালে ‘দ্য রাম ডায়েরি’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেন জনি ডেপ-অ্যাম্বার হার্ড। পর্দায় প্রেম করতে করতে রিয়েল লাইফেও প্রেমে পড়েন নায়ক-নায়িকা। ২০১৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হোন। বিয়ের তিন বছরের মধ্যেই ২০১৭ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে বিখ্যাত এই তারকা দম্পতির। বিচ্ছেদের এক বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টে একটা লেখা লিখেছিলেন হার্ড। সেই লেখায় সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন হার্ড। এদিকে মামলার বিবরণে ডেপ দাবি করেন, তিন বছরের (২০১৫ থেকে ২০১৭) যৌথ জীবনে তিনি কখনোই তার গায়ে হাত তোলেননি বা তার ওপর যৌন নির্যাতন চালাননি। বরং অনেকবার তর্কাতর্কির সময় সাবেক স্ত্রী হার্ড তার সঙ্গে সহিংস আচরণ করেছেন। এর জবাবে অ্যাম্বার হার্ড ১০ কোটি ডলারের পাল্টা মানহানির মামলা করেছেন জনি ডেপের বিরুদ্ধে। অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলায় ইতোমধ্যে আদালত জনি ডেপের জবানবন্দি শুনেছে। এখন চলছে তার সাবেক স্ত্রীর সাক্ষ্যগ্রহণ।
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ