বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কায় প্রায় ১০০ যাত্রী বহনকারী একটি ওয়াটার বাস ডুবে যাওয়ার ঘটনায় রবিবার রাতে উদ্ধারকারীরা ৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহতরা হলেন- এক নারী, দুই পুরুষ ও এক শিশু। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশিদ-উন-নবী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তাদের মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়।
নদী থেকে ৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩ জন অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন এবং বাকিদের চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রাত সোয়া ৮টার দিকে ওয়াটার বাসটি ডুবে যায়।
খবর পেয়ে সদরঘাট ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এছাড়া কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ ত্বরান্বিত করতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে যোগ দেয়।
ওয়াটার বাসটি নদীর তীরে ডুবে যাওয়ায় বেশিরভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
ইউএনবির কেরাণীগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, বালুবোঝাই একটি বাল্কহেড নদীর মাঝখানে শতাধিক যাত্রী বহনকারী ওয়াটার বাসটিকে ধাক্কা দেয়।
ওয়াটার বাসটি দিনের শেষ যাত্রায় ওয়াইজঘাট থেকে কেরাণীগঞ্জের নাগরমহলের দিকে যাচ্ছিল।
দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ জামান বলেন, অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক