অনলাইন ডেস্ক :
উত্তর বুরকিনা ফাসোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৭ জন সেনা এবং ৩৬ জন স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধা নিহত হয়েছে। বুরকিনা ফাসো ২০১৫ সাল থেকে উত্তর মরুভূমিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে। যাদের মধ্যে যার মধ্যে কিছু গোষ্ঠী আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এতে প্রতি বছর হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং কয়েক হাজার মানুষ রয়েছেন অনাহারে ভুগছে। দেশটির সেনাবাহিনী মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত সোমবার ইয়াতেঙ্গা প্রদেশের কৌমব্রি এলাকায় আক্রমণের পর ১৭ জন সেনা এবং সেনাবাহিনীকে সহায়তাকারী ৩৬ জন স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দুই বছরেরও বেশি সময় আগে যোদ্ধাদের তাড়িয়ে দেওয়া বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য ওই শহরে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এতে বলা হয়, ‘চরম কাপুরুষোচিত এই কাজের জবাব দেওয়া হবে। পলাতক অবশিষ্ট সন্ত্রাসীদের হত্যার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’ চলতি বছরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ আরো খারাপ হয়েছে। দেশটিকে একটি সহিংস আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। যা দারিদ্র্যপীড়িত মালি এবং নাইজারকেও গ্রাস করেছে। আফ্রিকার এই দেশটির উত্তরাঞ্চলে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর হামলায় কয়েক ডজন যোদ্ধা নিহত এবং তাদের যুদ্ধ সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। ওই এলাকায় অভিযান এখনও চলছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। সূত্র: রয়টার্স
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২