নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৃষ্টিপাত কিছুটা বেড়েছে। যা আরও বাড়তে পারে। এতে বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের আওতা কমতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় গত মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার (২০ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে। এ সময়ে ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ২ মিলিমিটার। সকাল থেকে ঢাকার আকাশে রোদ ছিল। ছিল ভ্যাপসা গরমও। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মেঘের আনাগোনা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি। বেলা সাড়ে ১২টার দিতে বৃষ্টি কিছুটা কমে যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা ৪৩টি বৃষ্টি পরিমাপক পয়েন্টের মধ্যে ৩৬টিতে বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, গতকল বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছুকিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছুকিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে বলেও জানান তিনি। মনোয়ার হোসেন আরও বলেন, আগামী তিনদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। গত মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সন্দ্বীপে ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, গতকল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি