অনলাইন ডেস্ক :
গেলো ২৩ মার্চ শুরু হয়েছিলো ‘বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’র ১৪তম আসর। বৃহস্পতিবার পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে পর্দা নেমেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ উৎসবের। এবার উৎসবটির এশিয়ান কম্পিটিশন বিভাগে বাংলাদেশের দুটি সিনেমা মনোনয়ন পেয়েছিলো। এগুলো হলো আকরাম খান নির্মিত ‘নকশীকাঁথার জমিন’ ও নূর ইমরান মিঠুর ‘পাতালঘর’। প্রথম ছবিটির কেন্দ্রীয় আছেন দুই বাংলাজয়ী অভিনেত্রী জয়া আহসান। অন্যটিতে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া। যাকে এমন মলিন-সাদামাটা চরিত্রে আগে সেভাবে পাওয়া যায়নি। যার যার জায়গায় প্রত্যাশা সবারই ছিলো। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি শোভা পেলো জয়ার ঠোঁটে। কারণ উৎসবে তৃতীয় সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছে তার অভিনীত ‘নকশীকাঁথার জমিন’। আর ফারিয়াকে তুষ্ট থাকতে হলো শুধু মনোনয়নেই। উৎসবটির এশিয়ান কম্পিটিশন বিভাগে চারটি পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও স্পেশাল জুরি মেনশন। এবার প্রথম সেরা ছবি হয়েছে দুটি; এগুলো হলো- ইন্দোনেশিয়ার কামিলা আন্দিনি নির্মিত ‘বিফোর, নাও অ্যান্ড দেন’ ও ইরানের সৈয়দ মর্তেজা ফাতেমির ‘মাদারলেস’। দ্বিতীয় সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছে শ্রীলংকার ছবি ‘স্যান্ড’। আর তৃতীয় সেরা হয়েছে যৌথভাবে বাংলাদেশের ‘নকশীকাঁথার জমিন’ ও ভারতের ‘ভিরাতাপুরা ভিরাগি’। স্পেশাল জুরি মেনশন দেওয়া হয়েছে ভারতের বাদিগার দেবেন্দ্র নির্মিত কন্নড় ভাষার ‘ইন’ ছবিটিকে। এই বিভাগে ৮ দেশের মোট ১৪টি সিনেমা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলো। পুরস্কার জয়ের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নির্মাতা আকরাম খান বলেছেন, “হাসান আজিজুল হকের ‘বিধবাদের কথা’ অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত আমাদের চলচ্চিত্র ‘নকশীকাঁথার জমিন’ (অ ঞধষব ঙভ ঞড়ি ঝরংঃবৎং) বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ান কম্পিটিশন বিভাগে ৩য় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসাবে পুরস্কৃত হওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ছবির সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।” জয়া আহসান বর্তমানে জাপান ভ্রমণে রয়েছেন। সেখান থেকেই ভক্তদের জানালেন সুখবরটি। বললেন, ‘চমৎকার একটা আনন্দের সংবাদ দিচ্ছি আপনাদের! এ আনন্দ যেমন আমাদের সবার, তেমনি আমাদের দেশেরও! ১৪তম বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান কমপিটিশনে, বিখ্যাত সব সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগীতায় ছিল, জীবনঘনিষ্ঠ নির্মাতা আকরাম খানের নির্দেশনায় নির্মিত অনুদানের সিনেমা ‘নকশীকাঁথার জমিন’। প্রতিযোগিতা করে সিনেমাটি তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।” এর আগে ছবিটি ‘ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়া’য় ‘ইউনেস্কো গান্ধী মেডেল অ্যাওয়ার্ড’র জন্য মনোনীত হয়েছিলো। ছবিটিতে আরও আছেন সেঁওতি, ইরেশ যাকের, সৌম্য জ্যোতি, দিব্য জ্যোতি প্রমুখ। এদিকে এই ছবির পুরস্কার প্রাপ্তিতে আনন্দ প্রকাশ করেছেন দেশের আরেক গুণী নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরীও। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে তিনি বলেছেন, ‘আকরাম খান ভাই নিভৃতে তার সিনেমা করে যাচ্ছেন আর ইতিহাসে বাংলা সিনেমার ল্যান্ডস্কেপে তার অবস্থান পরিষ্কার করে যাচ্ছেন। বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি তৃতীয় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার পাওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত।’
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ